নিজস্ব প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি »
পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টাতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে বিশ্ব বাজারে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্ব দিতে হবে। পাহাড়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে এসব ফসল চাষের সম্ভাবনা অনেক।
গতকাল বুধবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম, কফি বাগান, সোনাইছড়ির নিসর্গ এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজ মিলনায়তনে চাষিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও প্রচুর। এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পার্বত্য এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটবে। একইসাথে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
কফি ও কাজু বাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের সরকার বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদের দেয়া হয়েছে; আর এ বছর ২০ লাখ চারা দেয়া হবে বলে যোগ করেন মন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, বাসন্তী চাকমা, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, নাইক্ষ্যংছড়ি জোন ও ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যানোওয়ান চাক , সহ-সভাপতি আবু তাহের, তসলিম ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।