তারাবির নামাজের সময় বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা

সাংবাদিকের মেয়েসহ আহত ৫

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »

চকরিয়ায় তারাবির নামাজের সময় সাংবাদিকদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির নারী সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ ৭ লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া নিবাসী সাংবাদিক এম জিয়াবুল হকের নানার বাড়িতে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক এম জিয়াবুল হক বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়তে যান। এসময় একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আবদুল আলীমের ছেলে আবদুর রহিম, জসিম উদ্দিন, আবদুল হামিদ ও ডাকাতি মামলার জেলফেরত আসামি আবুল হাশেমের নেতৃত্বে ৮/১০জন মুখোশধারী বহিরাগত সন্ত্রাসী আমার বাড়ি লাগোয়া আমার নানার বাড়িতে অতর্কিত ঢুকে পড়ে। এসময় আমার মামা নুরুল আবছার, প্রবাসী নজরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পরিবারের নারী সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তাদের বেধড়ক পিটিয়ে আলমিরা থেকে নগদ ৭ লাখ ২১ হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় বাড়ির নারী সদস্যদের চিৎকারে তাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ ও লোহার রডের আঘাতে আমার ছোট বোন নুরুচ্ছফা বেগম (৩৭), মামা নুরুল আবছারের স্ত্রী শাহীনা আক্তার (৩৭), ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম (৩৩), এসএসসি পরীক্ষার্থী আমার মেয়ে শাকিলা পারভীন লিলি (১৫), মামাতো বোন খালেছা বেগম (১৮) কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরে পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সাংবাদিক জিয়াবুল হক বলেন, ঘটনার সময় আমি চকরিয়া উপজেলা সদরে সোসাইটি জামে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ছিলাম। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিষয়টি চকরিয়া থানার ওসিকে অবহিত করা হলে রাত দশটার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে থানার দুটি টিমকে পাঠান। ওসময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকদের পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে ঘটনার রাতে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। আক্রান্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হলে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।