পাইকারিতে কমেছে আদা-রসুনের দাম

প্রভাব নেই খুচরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক »
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে আদা ও রসুনের দাম কমতির দিকে হলেও তার কোন প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে আদা ও রসুনের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়তগুলোতে রয়েছে মিয়ানমার, ভারতের কেরালা, চায়না, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানির পর্যাপ্ত আদা মজুদ। পাইকারিতে মানভেদে প্রতিকেজি আদা ও রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা যা গত দুই মাস ধরে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকায়। তবে তার প্রভাব পড়েনি খুচরায়। এখনো বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা।
গত কয়েকমাস ধরে মসলাজাত এ দুটি পণ্যে অস্থিরতা দেখা দিলেও রমজানের আগে কমার আশায় কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন আড়তদাররা। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান আড়তদারেরা।
চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফোরকান বলেন, ‘পর্যাপ্ত আদা ও রসুন মজুদ রয়েছে। দামও কমতির দিকে। রমজানে বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’
আদা ও রসুন আমদানিকারক খাতুনগঞ্জের হক ট্রেডিং এর মালিক মাসুম উদ্দিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমদানির রসুন ও আদা বাজারে আসছে। যার ফলে দাম কমতির দিকে। নতুন এলসি করা আদা ও রসুন বাজারে আসলে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়েও রসুনের আমদানি বেড়েছে কয়েক গুণ। গত অর্থবছর ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ পর্যন্ত আমদানি হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ মেট্রিক টন। আর তা তিনগুণের চেয়েও বেশি বেড়ে সর্বশেষ জানুয়ারির ২৪ পর্যন্ত রসুন আমদানি হয়েছে ১১ হাজার ২৪২ মেট্রিক টন। ফ্রেব্রুয়ারিতে আমদানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি পাইকারি বাজারে আদা ও রসুনের দাম কমলেও খুচরা বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। আগে কেনার অজুহাতে বাড়ানো দামেই বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার বকসিরহাট ও রেয়াজউদ্দিন বাজারের আদা ও রসুনের দোকানগুলোতে চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। যা মানভেদে পাইকারির চেয়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে।
পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরায় দাম বেশি কেন জানতে চাইলে বকসিরহাটের ফারুক স্টোরের মালিক মো. আমির হোসেন বলেন, আদা ও রসুনের বাজার বর্তমানে খাতুনগঞ্জে কমলেও আমরা যেসব বিক্রি করছি তা চড়া দামে কেনা ছিল। যার ফলে লোকসানে বিক্রি করতে পারছি না।
বকসিরহাটে আসা ক্রেতা রওশন আরা বলেন, গত দুই মাস ধরে রসুন ও আদা ২০০ টাকার চেয়ে বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছে তারা পাইকারিতে বাড়তি দরে কিনছে।