কাল উপনির্বাচন
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন বুধবার। এ নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগেই আইনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেল।
সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন ১ এ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছিদ্দিকী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের যৌথ বেঞ্চে পুর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে একসঙ্গে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখলের ঘটনায় ছনহরা ইউনিয়নে ২টি কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশন স্থগিত করে। পরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২টি ভোটকেন্দ্রে পুনঃ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। শপথের কয়েকদিন পরেই তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেলে ১৫ জুন উপনির্বাচনের তারিখ ধার্য হয়। কিন্তু ঋণ খেলাপির অভিযোগে বাতিল হওয়া মামুনুর রশিদ রাসেল ছাড়া বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জাহেদুল হক ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহাব উদ্দিন।
এর আগে গত ১৯ মে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোছাইনী ঋণ খেলাপির অভিযোগে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের প্রার্থিতা বাতিল করেন। এ নিয়ে রাসেল হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শুনানি শেষে চূড়ান্তভাবে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- ব্যারিস্টার আজমল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার রানজিত।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী জানান, ঋণ খেলাপির অভিযোগে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তিনি একটি আপিল করেন। ওই আপিল মামলায় শুনানি শেষে চূড়ান্তভাবে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।