নির্মাণের চার বছরেই দেয়ালে ফাটল!

পাঁচলাইশ আরবান ডিসপেনসারি

নিলা চাকমা »

পাঁচলাইশ আরবান ডিসপেনসারি ভবনের বয়স চার বছর না পেরোতেই বার্ধক্যের ছাপ পড়েছে এর অবয়বে। দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তারা খসে পড়েছে ও বৈদুত্যিক লাইনেও ত্রুটি ধরা পড়েছে। একটু বৃষ্টির পানিতেই ভিজে যায় হাসপাতালের প্রায় সকল কক্ষ।

এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) নির্বাহী পরিচালক মণি কুমার শর্মা বলেন, ‘যখন ভবনটি করা হয়েছে আমি ছিলাম না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এতদিন কিছু জানান নি। সিভিল সার্জন পরিদর্শন করে আমাকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা সেখানে প্রকৌশলী পাঠিয়েছি। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার নগরীর বাকলিয়ার রাহাত্তারপুল এলাকার পাঁচলাইশ আরবান ডিসপেনসারিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ৬ টি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে চারটি কক্ষে চিকিৎসকরা রোগী দেখেন। এছাড়া একটি রুম ফার্মেসি এবং অন্যটি স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওষুধ রাখার কক্ষসহ চারটি কক্ষের সিলিংয়ে পানি জমে রয়েছে। সেখান থেকে থেমে থেমে মেঝেতে পানি পড়ছে। হাসপাতালের বিদ্যুতের মূল সংযোগের আশপাশও ভিজে একাকার।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো টিন শেড ভবনে বিভিন্ন সমস্যা থাকায় নতুন এ ভবনটি করা হয়। ২০১৯ সালের দিকে এর কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। ওই বছরেই ভবনের কাজ শেষ করে রোগীর সেবা প্রদান শুরু হয়।

কিন্ত চার বছর শেষ না হতেই হাসপাতালের বাইরে ভেতরে ফাটল ধরেছে, খসে পড়ছে পলেস্তারা। হাসপাতালে নিচে রাখা হয়নি কোনো পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। যে কারণে বেশিরভাগ সময় সেখানে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মশার কারণে জানালা খোলা যায় না। বৃষ্টি হলেই হাসপাতালে দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। এতে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে সেবার কাজ চালাতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

জানা যায়, প্রতিদিন ২০০-২৫০ জন রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, স্ক্যাবিশসহ কয়েক ধরনের রোগের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। সরকারিভাবে নগরে আরবান ডিসপেনসারি রয়েছে ৯টি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর আওতায় ২১টি রয়েছে।
হাসপাতালটির মেডিক্যাল অফিসার ডা. আমেনা বেগম বলেন, ‘আমরা এখানে নতুন এসেছি। শুনেছি, এটি ২০১৯ সালের দিকে তৈরি করা হয়েছে। নিম্ন মানের কাজের জন্য কয়েক বছর না যেতেই এমন বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিদ্যুতের লাইনে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায়। এতে যে কোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’