খালাস বন্ধ রেখেছে খাদ্য অধিদপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক»
নিম্নচানের চাল নিয়ে ভারতীয় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে। এক হাজার টন খালাসের পর বাকি চাল খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন মতামতের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মতামত চাওয়া হয়েছে। যদি মতামত নেগেটিভ হয় তাহলে চালসহ জাহাজটিকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের তিন নম্বর জেটিতে ভিড়ে ভারতীয় জাহাজ ‘বিএমসি আলফা’। ভারত থেকে আমদানিকৃত ৭ হাজার ৬০০ টন চাল নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। যেদিন জেটিতে ভিড়ে সেদিনই চালের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয় সেদিন মান সঠিক ছিল। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর নেয়া নমুনা পরীক্ষা করার পর মানসম্মত গুণাবলী পাওয়া যায়নি। এতে খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়।
কি পরিমাণ চাল খালাসের পর খারাপ চাল পাওয়া যায় জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ‘প্রথম দিনে এক হাজার টন চাল খালাস করেছিলাম। বিধি অনুযায়ী প্রতিদিন চালের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনের নমুনায় মানসম্মত চাল পাওয়া যায়নি। তাই সিদ্ধান্তের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মতামত চেয়েছি। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো।’
কবে নাগাদ মতামত আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার মতামত পেতে পারি। এর আগেও ভারতীয় আরেকটি জাহাজে আমদানি করা জাহাজে মানসম্মত চাল না পাওয়ায় চালসহ জাহাজটি ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সেবার ৯ হাজার টন চাল নিয়ে এসেছিল জাহাজটি।
এদিকে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের বাজারে চালের ঘাটতি মেটাতে সরকার দেশের বাইরে থেকে চাল আমদানি শুরু করে। জিটুজি ভিত্তিতে ভারত থেকে আমদানি করা চালের দুটি চালানেই এধরনের ঘটনা ঘটলো। তবে গুণগত মানসম্মত না হলে সরকারের পক্ষ থেকে চাল গ্রহণ করা হবে না বলে জানা যায়।