সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের ব্যস্ত অভিনয় শিল্পী নায়ক শাকিল খান এবং নায়িকা জনা। ২০০২ সালে ‘হৃদয়ের বাঁশী’ শিরোনামের সিনেমার মাধ্যমে পরিচিত হন তারা। সেই বছরই বিয়ে করেন শাকিল খান এবং জনা। কিন্তু এই দম্পতির সংসার টেকেনি ২০০৩ বিচ্ছেদ হয় তাদের। আরিয়ান খান নামে সাবেক এই দম্পতির এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন জনা। বর্তমানে আরিয়ান মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাবার সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। গেল শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর এফডিসিতে এসেছিলেন জনা। সে সময় অনলাইনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শাকিল খানের বিরুদ্ধে এই নায়িকার অভিযোগ, শাকিল খান তার সন্তানের দায়িত্ব নেননি।
জনার ভাষ্য, প্রতিবেশীদের মতো মাঝেমধ্যে খবর নেয়। দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে সে (শাকিল খান) রেগুলার আসতো। আরিয়ানের বয়স যখন সাত-আট বছর, তখন প্রতিবার ঈদে ওকে (আরিয়ান) নিয়ে শপিংয়ে যেত। ২০১৮ সালেও এসেছিল।
তার সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে।
সর্বশেষ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শাকিল খান কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেখানে হেরে গেছেন তিনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সে সময় সাবেক স্ত্রীর অভিযোগের ভিডিও বার্তাটি ছড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শাকিল খান। তবে এসব সমালোচনায় মোটেও বিব্রত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাবেক স্ত্রীর অভিযোগের জবাবে শাকিল খান বলেন, ১৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হয় আমাদের (শাকিল-জনা)। এত বছর পর হঠাৎ কেন অভিযোগ- এটাই বড় প্রশ্ন।
জনার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শাকিল খানের ভাষ্য, আমি আমার সন্তানের দায়িত্ব নেব না এটা কেমন কথা! সে (আরিয়ান) যদি এখনো বাবার কাছে চলে আসে তবুও আমার আপত্তি নেই। জনাকে প্রশ্ন করুন, সে আমাকে আমার সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিয়েছিল কিনা?
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রকে বিদায় জানিয়ে ২০০৭ সালে আমেরিকা পাড়ি জমান চিত্রনায়িকা জনা। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জুবায়ের হোসেনকে বিয়ে করেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ডাক্তারবাড়ি, জন্ম, বাজাও বিয়ের বাজনা এবং মন ছুঁয়েছে মন।
অন্যদিকে শাকিল খানও দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিয়ে করে ফের সংসারী হয়েছেন। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুখে আছেন। তবে অভিনয় ছেড়ে দিলেও সিনেমা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে প্রায়ই দেখা যায় তাকে।