কার্যক্রম শুরু কাল
নিজস্ব প্রতিবেদক <
চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতলে গেলে মিলবে করোনার টিকা। বন্দর কর্তৃপক্ষের আবেদনে এ হাসপাতালকে করোনা টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে সরকারি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। টিকাদনের প্রস্তুতির জন্য সরকারি প্রতিনিধি দল এ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ ও সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ রোববার পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ হাসপাতালে। আগামীকাল সোমবার থেকে এ হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ১১টি টিকদান কেন্দ্র রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, বিমান বাহিনী হাসপাতাল, নৌবাহিনী হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, চসিক জেনারেল হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, চসিক বন্দরটিলা ও হাসপাতাল ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল। এ ১১টি হাসপতালের সাথে নতুনভাবে যুক্ত হলো চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সুপ্রভাতকে বলেন, মাসখানেক আগে বন্দর হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল থেকে টিকা দান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। টিকাদান কর্মসূচির জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করে এ হাসপাতালে টিকা নেওয়া যাবে। এ টিকাদান কেন্দ্রের কারণে এলাকাবাসীসহ বন্দর কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য টিকা গ্রহণ করা সহজতর হবে। এছাড়া বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের রেজিস্ট্রেশন সহায়তা দিতে হাসপাতালের ১১১ নম্বর রুমে সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।