সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিমান বন্দরের বাইরে মারণাত্মক বোমা বিস্ফোরণে ১০০ জনের বেশি লোকের মৃত্যুর এক দিন পরেই, উদ্ধার ফ্লাইট পুনরায় চালু হলে শুক্রবার, আফগানিস্তান থেকে চলে যেতে মরিয়া লোকজন কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হতে শুরু করেন I আফগান সংবাদ সংস্থা ‘পাঝওয়োক’ জানায়, বিস্ফোরণে অন্তত ৯০ জন আফগান প্রাণ হারিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ১৩জন সদস্যসহ মোট শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
হামলা চালানোর কয়েক ঘন্টা পরেই ইসলামিক স্টেট গ্ৰুপ, তাদের সংবাদ মাধ্যম, টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে বিমান বন্দরের হামলার দায় স্বীকার করেI তারা বিমান বন্দর সংলগ্ন অ্যাবি গেইট এবং নিকটবর্তী একটি হোটেলের বাইরে দুটি স্থানে আত্মঘাতী হামলাকারীরা বিস্ফোরণ ঘটায়। পেন্টাগনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান, জেনারেল মেকেঞ্জি বলেন, বোমা হামলার পর সেখানে বন্দুক লড়াই শুরু হয়।
ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক সংস্থা, আইসিস-খোরাসান প্রদেশ নামে খ্যাত একটি দলকে এই হামলার জন্য দোষারোপ করে হয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে বিদেশি নাগরিকসহ আফগানদের উদ্ধার করে আনার কাজ আবার শুরু হয়েছে।
হামলার পর শুক্রবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে লোকজনকে উদ্ধার করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান পুনরায় শুরু হয়েছে। এজন্য তাদের হাতে খুব বেশি সময়ও নেই। তালেবানের সাথে হওয়া সমঝোতা অনুসারে ৩১শে অগাস্টের মধ্যে বিদেশি সৈন্যদের সরিয়ে নিতে হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, ব্রিটেনও কাবুল থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। তিনি জানান, আজ শুক্রবার এক হাজারের মতো লোককে সরিয়ে আনা হতে পারে।
তিনি জানান, বিমানে আরো বেশি জায়গা তৈরি করার জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কিছু যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে ফেলা হবে বা সেখানে রেখে আসা হবে।
তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ শেষ করতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি রয়েছে এবং দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে প্রত্যেককেই হয়তো নিয়ে আসা সম্ভব হবে না।
বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে তাদের উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্ক।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের উদ্ধার অভিযান আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা ও বিবিসি