এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভা
‘বাংলাদেশের জল সীমার আয়তন স্থলভাগের আয়তনের চেয়ে বেশি। সম্ভাবনাময় স্থায়ী এই খাতের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় গতি আনতে পারলে এগিয়ে যাবে দেশ। সুনীল অর্থনীতির প্রসারে সমুদ্র সম্পদ নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার মাধ্যমে গুরুত্বারোপ করলে সমুদ্র সীমা জয়ের সুফল আসবে’।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে ও সামরাস ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের কারিগরি সহায়তায় বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ফেইজবুক পেইজ থেকে গতকাল ৭ জুন সরাসরি সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল আলোচনায় মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ওশানোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সমুদ্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন মুন্না। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জীবন ও জীবিকা’। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াটার হাইজিন কর্মকর্তা ফোরকান আহমেদ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও দ্যা ইকো এ্যাক্টিভিস্টের প্রধান সমন্বয়ক সঞ্জয় বিশ্বাস, ওব্যাট হেল্পার্স’র কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আখতার খান, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সদস্য মুরশান সাজিদ চৌধুরী, সাদমান সাকিফ প্রমুখ।
নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা এবং টেকসই ব্যবহারের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সমতলকে যেভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়, সমভাবে সমুদ্রের রক্ষণাবেক্ষণেও দৃষ্টিপাত দেয়া জরুরি।
সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, সমুদ্রে দূষণের শতকরা ৭৩ ভাগের বেশি ঘটে প্লাস্টিক দূষণের মাধ্যমে। এছাড়া বাংলাদেশে সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন শিল্পের অনিয়ন্ত্রিত প্রসারের ফলে ও কঠোর নজরদারির অভাবে প্রতিনিয়ত সমুদ্রে দূষণ বাড়ছে, সমুদ্র সৈকতসহ প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্যও বিপন্ন হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষার নীতিমালার আলোকে প্রণীত আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা জরুরি। যেকোনো মূল্যে সমুদ্র দূষণ রোধ করা সম্ভব না হলে অর্জিত সমুদ্র সীমার মাধ্যমে পরবর্তী সুফল পাওয়া অধরাই থেকে যাবে। বক্তারা আরো বলেন, মহাসাগর হলো পৃথিবীর ফুসফুস। পৃথিবীতে সমস্ত জীবন আর জীবিকার মূলেই রয়েছে সমুদ্র। মানুষের জীবনে সমুদ্রের গুরুত্ব স্মরণে সমুদ্রের অবদান, প্রয়োজনীয়তা স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে প্রতি বছর ৮ জুন পালিত হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস। সমুদ্র বৈশ্বিক উষ্ণতার শতকরা ৯০ ভাগ শোষণ করে নিয়ে পুনরায় তা খনিজ সম্পদে পরিণত করে। সমুদ্রে মৎস্য সম্পদের আহরণে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি সময়ের দাবি কারণ একই জায়গা থেকে মাত্রাতিরিক্ত মাছ আহরণের ফলে উৎপাদন কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির অস্তিত্বও হুমকির সম্মুখীন। জাতিসংঘের এক সমীক্ষা মতে, সমুদ্রের প্রতি বর্গমাইলে প্রায় ৫০ হাজার প্লাস্টিকের বোতল ভাসতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি রয়েছে তেল ও রাসায়নিকসহ বর্জ্য পদার্থ। মানবসৃষ্ট সকল ধরণের দূষণ প্রক্রিয়া থেকে সমুদ্রকে সুরক্ষিত রাখা বর্তমানে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বিজ্ঞপ্তি