মো. আবদুর রহমান, দীঘিনালা »
দীঘিনালায় উৎপাদিত জাম্বুরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সমতলে যাচ্ছে। পাহাড়ের জাম্বুরা আকারে বড়, স্বাদে অতি মিষ্টি ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন হওয়ায় সমতলেও চাহিদা খুব বেশি। আকার ভেদে প্রতিটি জাম্বুরা ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। গত মঙ্গলবার দীঘিনালা থানা বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা বিভিন্ন সাইজের জাম্বুরা নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রি করতে। চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার উৎপাদিত জাম্বুরা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয়।
অন্যান্য সাইট্রাস ফলের ন্যায় জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-বি রয়েছে। টক-মিষ্টি স্বাদের দেশিয় ফলটি ছোট-বড় সকলের কাছে সমানভাবে প্রিয়। জাম্বুরার ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ফ্রি রেডিকেল থেকে কোষকে রক্ষা করে। এতে থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরে অ্যান্টি-এজিং প্রভাব প্রয়োগ করে। ফলে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ দেরিতে পড়ে। জাম্বুরা উচ্চ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং ফোলিক এসিডেরও উৎস।
জাম্বুরা সাধারণ ঠা-া, জ্বর বা কাশি দূর করার এক প্রকার প্রাকৃতিক রেমেডিস। একটু জ্বর, কাশি বা ঠা-া হলেই যারা মুঠো ভর্তি মেডিসিন খেয়ে অভ্যস্ত তারা জাম্বুরা খেলে খুব দ্রুত উপকার পান। জাম্বুরাতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্টকে ভাল রাখতে জরুরি। এছাড়া, জাম্বুরাতে উচ্চ পরিমাণে পেক্টিন রয়েছে যা আর্টারিয়াল ডিপোজিট ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। ফলে,হার্ট সুস্থ থাকে।
দীঘিনালা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: বাঁচা সওদাগর বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর জাম্বুরার ফলন ভালো। দাম গত বছরের চেয়ে কম। আমরা ব্যবসায়ীরা আকার অনুযায়ী ৮/১০ টাকা দরে পাইকারী কিনে নিচ্ছি। এবং চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিভিন্ন আড়ৎদারের নিকট বিক্রি করে থাকি। দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, জাম্বুরা একটি পুষ্টিগুন সম্পন্ন ফল। পাহাড়ের মাটি জাম্বুরা চাষের জন্য উপযোগী। পাহাড়ে উৎপাদিত জাম্বুরা গুণগত মানে অনেক ভালো এবং মিষ্টি স্বাদের। আকারেও বেশ বড় হয়। দীঘিনালা উপজেলায় প্রচুর জাম্বুরা ফল উৎপাদিত হয়। এবছর প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে জাম্বুরা চাষ হয়েছে।