বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আমাদের এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে বিদায় নেন। অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না।
তিনি শুক্রবার বিকালে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুন অর রশিদ ভিপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, একদিনের ঘোষণায় লাখ লাখ মানুষ গণমিছিলে যোগ দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপির রাজনীতিতে জনগণ একতাবদ্ধ। এই সরকার হিংসার কারণে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর দেশে পরিণত হয়েছে। এ সরকার মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পারছে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এমন ওষুধ কিনেছে, মশা মারা যায় না। সবকিছু দুর্নীতিতে সয়লাব করে ফেলেছে।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আবু সুফিয়ান বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার সবকিছুকেই ডাকাতি করা হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, মো. সালাউদ্দীন।