নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানলে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছেন ১২ লাখেরও বেশি নানা বয়সের রোহিঙ্গা নাগরিক।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। তাঁরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা বলেন, মোখা ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি পরিস্থিতি বিবেচনায় সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোকে। স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি মেডিক্যাল দল ও মোবাইল মেডিক্যাল দল প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়শিবিরের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরিভাবে সরবরাহের জন্য ত্রিপল, বাঁশ ও সুতলি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।