চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যে বিষয়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে- এটি উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ। মোনাজাতের সময় বিএনপি-জামায়াতের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করার আহ্বান জানানো বিষয়টি মূলত মোনাজাত পরিচালনাকারীর ব্যক্তিগত বক্তব্য। এর সাথে জেলা প্রশাসকের (রিটার্নিং অফিসার) কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জেলা প্রশাসক মূলত ধর্মীয় রীতি মেনে মোনাজাতে শামিল হয়েছিলেন মাত্র। স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন জেলা প্রশাসক। অথচ জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান চট্টগ্রামে আসার পর থেকে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সুধী সমাজ আয়োজিত ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, জঙ্গল সলিমপুরে নির্বিচারে পাহাড় দখল, ভূমিদস্যুতা চলে আসছে। সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল জঙ্গল সলিমপুর। অথচ এটা সরকারের জায়গা। চট্টগ্রামে অনেক জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু জঙ্গল সলিমপুরের দখলদার, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। কিন্তু বর্তমান ডিসি মমিনুর রহমান এ সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে এবং সেখানে থেকে অপরাধীদের বিতাড়িত করতে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক হুমকি-ধামকি পেয়েছেন। আমরা মনে করি, বর্তমান জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা জানতে পেরেছি রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতির পর নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে স্বার্থান্বেষী মহল। তারা চাচ্ছে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ বিভিন্নভাবে তাকে বিতর্কিত করে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা। তাহলে তারা অপকর্ম, ভূমিদস্যুতা ও সন্ত্রাসী কর্মকা- নির্বিঘেœ চালিয়ে যেতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ। উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, অসীম কুমার দেব প্রমুখ।