জেঁকে বসেছে শীত

কাল থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা; কমতে পারে তাপমাত্রা

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া »

পৌষের শেষ প্রান্তে জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহ নয়, তবু শীতের কাঁপুনিতে দিশেহারা জনজীবন। বেলা গড়ালেও সূর্যের আবছা দেখা পেয়ে রোদে অবসর নিতে দেখা যায় শিশু থেকে বৃদ্ধদের। শীতের এমন আবহ তীব্র কুয়াশায় আরও কিছুদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা জানায়, আগামীকাল রোববার থেকে হালকা বৃষ্টি হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গতকালের শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। গতকাল চট্টগ্রামে অস্থায়ীভাবে আংশিক আকাশ মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক ছিলো। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। একই রকম অবস্থা আজকেও (শনিবার) বিরাজ করতে পারে। তবে রোববার থেকে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশংকা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহওয়াবিদ সুমন সাহা বলেন, ‘শুক্রবার ও শনিবার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর পরবর্তী তিন-চার দিন ঠাণ্ডা অনুভূত হবে। তবে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে না। এক-দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তফাৎ হতে পারে। এছাড়া রোববার থেকে দেশের দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। অন্য সময়ে এ ধরনের বৃষ্টিপাতকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিই না। তবে শীতকালে বৃষ্টি হওয়াটা অস্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয় বলে আমরা এটিকে গুরুত্ব দিই। আর বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এ সময়টা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়াশা দেশব্যাপী বিস্তার করবে। উত্তর-পূর্ব দিকে কুয়াশা প্রবল বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে চট্টগ্রামের আবহাওয়া প্রায় একই রকম হলেও এদিক থেকে চট্টগ্রামে কুয়াশা অতোটা প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের বিভাগগুলোতে কুয়াশা কমতে পারে। এছাড়া শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কমতে পারে।’