জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই

সিপিবি কোতোয়ালী থানার সমাবেশে বক্তারা

‘চট্টগ্রাম শহরের প্রধানতম সমস্যা জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতা বর্ষাকালে জীবনমরণ সমস্যা হিসাবে দেখা দেয়। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে শহরের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মানুষের চলাচল থমকে যায়। বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার এ সমস্যা থাকলেও এ থেকে মুক্তি মিলছে না। জনপ্রতিনিধিরা আসে যায়। আশ্বাসও মেলে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা মেলা ভার! প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বরাদ্দ হয় কোটি কোটি টাকা। কিন্তু বৃষ্টি কিংবা বর্ষায় মানুষকে ঠিকই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জলাবদ্ধতার এ সমস্যা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নাই।’

গতকাল সিনেমা প্যালেস চত্বরে সিপিবি কোতোয়ালী থানার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিবি কোতোয়ালী থানার সভাপতি কমরেড প্রদীপ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এবং সিপিবি কোতোয়ালী থানার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অশোক সাহা,  সম্পাদক ম-লীর সদস্য কমরেড নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, ফরিদুল ইসলাম, রেখা চৌধুরী,  সিতারা শামিম, দেবাশীষ সেন,  অমিতাভ সেন,  জাবেদ চৌধুরী, রাশিদুল সামির প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, শহরের এ জলাবদ্ধতা মানবসৃষ্ট, অপরিকল্পিত উন্নয়নই মূলত এ জন্য দায়ী। এর সাথে যুক্ত হয়েছে অবৈধভাবে খাল, জলাশয় দখল ও ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ। নগরের জলাবদ্ধতা ক্রমান্বয়ে স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। তাই এই জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর খালগুলো উদ্ধার করে পানি চলাচলের উপযোগী করতে হবে। নালা-নর্দমা ভরাট করে যারা বিল্ডিং নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রভাবশালী এবং পেশিশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি