চালু হলো ‘ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ

একই দিনে দেখা যাবে ৪ পর্যটন স্পট

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস চালু হলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলাতে ( শুক্র ও শনি) এই সার্ভিসের মাধ্যমে একই দিনে দেখা যাবে ৪টি পর্যটন স্পট। ৪ টি স্পট ঘুরে দেখা ছাড়াও প্যাকেজে থাকছে সকালের স্ন্যাকস্, দুপুরের খাবার, সার্বক্ষণিক ট্যুর গাইডের সুবিধা। প্রথম দিনে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে উচ্ছ্বসিত কর্তৃপক্ষ।
১ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় নিউমার্কেটে অবস্থিত মোটেল সৈকত থেকে এই সার্ভিসের প্রথম যাত্রা শুরু হয়। এই ট্যুর সার্ভিসের মাধ্যমে পর্যটকরা সীতাকুন্ড ইকোপার্ক ( সুপ্তধারা, সহস্রধারা ঝর্ণা) , গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, মহামায়া লেক এবং ডিসি পার্কে ভ্রমণ করেন। ৪ মাইক্রোবাস নিয়ে এই সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। ভ্রমণপিপাসুরা মাত্র ৮৫০টাকার এই ফুল ডে ট্যুর প্যাকেজের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঘুরে দেখেন চট্টগ্রামের আর্কষণীয় এসব পর্যটন স্পট।
প্রথম দিন (১ জুলাই) দর্শনার্থী ছিল ৪০জন। সকাল সাড়ে ৮ টায় ৪টি মাইক্রোবাস যাত্রা শুরু করে সকাল ১০টায় মিরসরাইয়ের মহামায়া লেকে পৌঁছে। এরপর গাইডসহ আধঘণ্টা মহামায়া লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। এরপর ১২টায় মাইক্রোবাসে সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে পৌঁছান তারা। ইকোপার্ক ঘুরে সেখানে দুপুরের খাবার সেরে ২টা ৪৫মিনিটে গুলিয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা। দুপুর ৩টা ১৫মিনিটে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে উপভোগ করেন সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য। বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু হয় ফৌজদারহাট ডিসি পার্কের উদ্দেশ্যে। মনোরাম ডিসি পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে মোটেল সৈকতের সামনে যাত্রা শেষ হয় ডে ট্যুর সার্ভিসের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভবিষ্যতে আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত, বাঁশখালী এবং ফটিকছড়ি চা বাগানকে এই ভ্রমণ পরিকল্পনায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যে সাড়াটা পেয়েছি সেটা অভূতপূর্ব। আমরা ভাবতেই পারিনি এরকম সাড়া পাবো। আমরা কোনো বিজ্ঞাপনে যাইনি। আমাদের ফেসবুক পেইজে জানিয়েছি। এরপর এতো সাড়া পাই, ৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দেই। মাইক্রোবাসের পরিবর্তে পর্যটন বাস হতে পারতো তবে এই সব এলাকায় বাস চলাচল সহজ নয়। গুলিয়াখালী এলাকায় মাইক্রোবাস ছাড়া প্রবেশ কষ্টসাধ্য। গতদিনও এখানে জ্যামের সৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা দেরি হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডের ব্যবস্থা করবো যাতে দেশি বিদেশি সকল পর্যটকেরা ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।’