আলাপকালে সুজনকে বিপ্লব বড়ুয়া
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়ার সঙ্গে ৩১ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় খুলশীর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
প্রশাসক সুজন সন্ধ্যায় বিপ্লব বড়–য়ার বাসবভনে পৌঁছলে তিনি অভ্যর্থনা জানান। এসময় পরস্পর কুশল বিনিময়ের পর তাদের আলোচনায় সিটি করপোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম ও চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা উঠে আসে। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে প্রশাসককে অবহিত করেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এ সময় প্রশাসকের উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজর রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে রিজিওনাল কানেকটিভিটির সঙ্গে সংযুক্ত করার সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নগরীরতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমও চলমান আছে।
বিপ্লব বড়–য়া আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ শেষ হলে, তা মিয়ানমার দিয়ে কুনমিং পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। এতে ভারতের সেভেন সিস্টার নেপাল, ভুটান, তিব্বত এবং আরো বেশ কিছু দেশের চট্টগ্রাম বন্দরের উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় আয়ের সিংহভাগ দুয়ার উন্মোচিত হবে। বৃদ্ধি পাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্কীয় যোগাযোগ ।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী চট্টগ্রামকে একটি অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রস্তুুত করতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াস রয়েছে বলে চসিক প্রশাসককে জানান। তিনি চসিকের বর্তমান নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সড়ক-ফুটপাত অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত রেখে যান চলাচলের উপযোগী রাখায় প্রশাসকের আন্তরিক প্রয়াসে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
প্রশাসক আগামীতে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়তে এর অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তনে সিটি করপোরেশনের আর্থিক ও কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে ভূমিকা গ্রহণে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়ার সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি