সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে দলের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা এ সংঘর্ষে জড়ান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা শাহ আমানত হলেও ছড়িয়ে পড়ে। বিজয়ের নেতা-কর্মীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছিলেন। আর সিএফসির নেতা-কর্মীরা ছিলেন শাহ আমানত হলে। তাদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ভোররাত ১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও প্রক্টোরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয়ের নেতা-কর্মীদের দাবি, রাত ১২টার দিকে বিনা উস্কানিতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে তাদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। পরে তারা প্রতিহত করেছেন।
অপরদিকে সিএফসির নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, কয়েক দিন ধরে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা ‘স্লেজিং’ করছেন। এ কারণে তারা প্রতি-উত্তর দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সংগঠন ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’ (সিএফসি) ও ‘বিজয়’ এই সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
অবিলম্বে ছাত্রলীগের চবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবিতে গত ১৩ জানুয়ারি ছাত্রলীগের বিভিন্ন মহলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগের ২ কেন্দ্রীয় নেতার প্রবেশ ১ ঘণ্টা বন্ধ করে রাখে।
গত ১৩ জানুয়ারি ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক শেখ নাজমুল ইসলাম ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু। তাদের উপস্থিতিতে আগামী ২৫ জানুয়ারির আগে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। আর তখন থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর দুই সদস্যের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে দুই বছরের বেশি পার করছে। দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হতাশা বাড়ছে এই ইউনিটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়াতে নানা সময় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটছে।