চট্টগ্রাম নগরের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু, সন্ধ্যার মধ্যে ৯৮ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা মেয়রের

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। বুধবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে চসিক-এর ৪ হাজার সেবক। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে নগরীর ৯৮ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারিত হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

প্রতি বছরের মতো এবারও বর্জ্য অপসারণ কাজের জন্য নগরকে চারটি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর জোনের ১০টি ওয়ার্ডে কার্যক্রম তদারকি করছেন কাউন্সিলর এসরারুল হক। দক্ষিণের ১১টি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন কাউন্সিলর আবদুল বারেক। পূর্ব জোনের ১১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং পশ্চিম জোনের ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. ইসমাইল দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পুরো নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ তত্ত্বাবধান করছেন কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী।

আজ (বুধবার) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বর্জ্য অপসারণ কাজের অগ্রগতি দেখতে নগরীর ওয়াসা এলাকায় আসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, নগরীকে চারটি জোনে ভাগ করে চট্টগ্রাম সিটির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। চারটি জোনের দায়িত্ব পালন করছেন চারজন কাউন্সিলর। ১০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সকাল থেকে সিটি করপোরেশনের সেবকরা নগরীকে পরিষ্কার করতে মাঠে নেমেছেন। শুধু প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।

এ সময় মেয়র দাবি করেন, আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়কে বর্জ্য ছিল না। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে নগরীর ৯৮ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হবে।

তিনি বলেন, এরপর অলিগলিতে হয়ত কিছু ময়লা থাকতে পারে, সেগুলোও পরিষ্কার হয়ে যাবে। আগামীকালও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন। কারণ, আগামীকালও কিছু কোরবানি করা হবে। আশা করি, নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে শতভাগ সফল হব।

কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যাপারে মেয়র বলেন, চামড়ার দাম খুব কম। চামড়ার বিক্রি না করতে পারলে অনেকে ফেলে পালিয়ে যায়। এ বছর মুরাদপুর, আগ্রাবাদসহ যেখানে যেখানে চামড়া বিক্রির জন্য স্তূপ করে রাখা হয়, সেখানে আমাদের লোক নিয়োগ করা আছে। যাতে কেউ চামড়া ফেলে পালাতে না পারে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, কোরবানি শেষে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলকামানের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্য অপসারণে ৪ হাজার সেবক ও ৩৩০টি গাড়ি মাঠে কাজ করছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জবাইকৃত পশুর ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে রক্ত ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেবে, যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।