চট্টগ্রামে ভার্চুয়াল আদালতে দশদিনে ৮১৬ আসামির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পরিস্থিতিতে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে দেশে বিচার কার্যক্রম চলছে।

গত ১১ মে থেকে সারাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কাযক্রম চালু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের আগে গত ২১ মে পযন্ত ১০ দিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে ৮১৬জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ মংগলবার বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ১১ মে থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ জন বন্দী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

ঈদের আগে গত ২১ মে জামিনে মুক্তি পান আলোচিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় হওয়া মামলায় কারাবন্দী ইসি’র সাবেক তিন কর্মচারী।

তারা হলেন-কোতওয়ালি থানার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোহাম্মদ শাহীন, বন্দর থানার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাহিদ এবং ডবলমুরিং থানার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পাভেল বড়ুয়া।
কারাগার সূত্র জানায়, জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে বেশির ভাগই মারামারি ও ছোটখাট মাদক মামলার আসামি।জানা গেছে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ, মুখ্য মহানগর হাকিম, মহানগর হাকিম আদালত, বিচারিক হাকিম আদালতসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১০ দিনে ৮১৬ আসামির জামিন মঞ্জুর হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, জামিনের আবেদন করা যেমন আসামির অধিকার। তেমনি জামিন দেওয়া না-দেওয়াও আদালতের এখতিয়ার। তবে ঈদের আগে ১১দিনে আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে ছিনতাই, ডাকাতি মামলার আসামি বা বড় কোনো সন্ত্রাসীদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করছেন আদালত।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে চালু হওয়া ভার্চুয়াল আদালতে সারা দেশে গত ২০ মে পযন্ত ১৮ হাজার ৫৮৫ জনের জামিন হয়েছে। একইসাথে আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে ২৮ হাজার ৩৪৯টি।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারি রোধ করতে আদালতের কার্যক্রম গত ২৬ মার্চ থেকে স্থগিত ছিল। তবে সাধারণ ছুটিতে ভিডিও কফারেন্সের মাধ্যমে গত ১১ মে থেকে আবার বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়।

১০ মে হাইকোর্ট চলমান ছুটির দিনে জরুরি মামলাগুলো শুনানির জন্য তিনটি বেঞ্চ গঠন করে এবং জরুরি জামিন সম্পর্কিত মামলাগুলো শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট অধঃস্তন আদালতকে নির্দেশনা দেয়।

আদালতকে ভিডিও কনফারেন্স এবং অন্যান্য ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে বিচারের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়ার জন্য ওইদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। পরে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করে জানায় যে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

গত ৭ মে মন্ত্রিসভা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্স ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন করে।