সুপ্রভাত ডেস্ক »
বোয়ালখালী উপজেলায় তিন দিন আগে হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর র্যাব বলছে, অটোরিকশা বিক্রি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
সোমবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতারের কথা জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ।
তারা হলেন- মোহাম্মদ বখতিয়ার (২৭), মো. ইলিয়াস (৩৫) ও মনির আহম্মেদ ওরফে মেহরাজ (২৬)। তাদের মধ্যে ইলিয়াস এ হত্যাকা-ের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ বলে র্যাবের ভাষ্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউসুফ বলেন, ‘অটোরিকশা বিক্রির বখশিস নিয়ে ইলিয়াসের সঙ্গে হেলালের বিরোধ হয়। এর জেরে ২৯ নভেম্বর তাকে ফোন করে বাসা থেকে আমুচিয়া এলাকায় ডেকে নেন ইলিয়াস। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে বখতিয়ার ও মনিরকে সঙ্গে নিয়ে হেলালকে হত্যার পর আমুচিয়া ইউনিয়নের একটি বিলে লাশ ফেলে চলে যান।’
৩৯ বছর বয়সী হেলাল বোয়ালখালী পৌরসভার জমাদার হাটের বাসিন্দা ছিলেন। তার বাড়ি নেত্রকোণায়। ২৯ নভেম্বর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। পরে বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অটোরিকশা নিয়ে বিরোধের জেরে হেলালকে খুন করা হতে পারে, এমন সন্দেহের কথা লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ জানিয়েছিল।
খুনের বর্ণনা দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, ‘হেলালের সঙ্গে অটোরিকশায় করে ইলিয়াস আমুচিয়া এলাকার দিকে যান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বখতিয়ার ও মেহেরাজ আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে তাদের পিছু নেন। আমুচিয়ায় পৌঁছালে হেলালের অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় তাদের অটোরিকশা। এ সময় হেলাল প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করেন তারা।
‘অটোরিকশায় থাকা কাঠ দিয়ে বখতিয়ার প্রথমে হেলালের মাথায় আঘাত করেন। তিনজন মিলে মারধরের একপর্যায়ে পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশ গজ দূরে বিলে নিয়ে লাশটি ফেলে চলে যান তারা। আর ইলিয়াস অটোরিকশা (হেলালের) নিয়ে সরাসরি টেকনাফ গিয়ে তার পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।’
বখতিয়ার ও মেহেরাজ দুজনই অটোরিকশা চালক জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বখতিয়ারকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যে ইলিয়াসকে চাক্তাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর ইলিয়াসের দেওয়া তথ্যে মেহেরাজকে বোয়ালখালী পৌরসভার মীরপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।