নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি রাবার ড্যাম সড়কটি চলাচলে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। ছড়াখালের তীরবর্তী জনপদে সড়কটির অবস্থান হওয়ায় আশপাশের সাত গ্রামের মানুষ রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এ নিয়ে এলাকার অন্তত শতাধিক পরিবারের লোকজনের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতংক। সর্বস্ব হারানোর ভয়ে দিন কাটছে ঐ সব গ্রামের শত শত পরিবারের। ছড়ার পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আধা কিলোমিটারের এই সড়কটির প্রায় অংশ ছড়াখালের গর্ভে বিলীন হয়েছে।
মাত্র ১শ মিটার রাস্তা ভেঙে শীর্ণ হয়েছে। যান চলাচলতো দূরের কথা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাই এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। এত কিছুর পরও স্থানীয় পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন জানান, রাবার ড্যাম সড়কের ছড়ার পশ্চিম পাশ ১শ মিটার রাস্তা ভেঙে পড়েছে। নদী ক্রমশই পাড়ার দিকে এগিয়ে আসছে। আধা কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এ রাস্তাটি বিলীন হলে হুমকির মুখে পড়বে ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া, খাস ঘোনা, আজল্লা পাড়া, লুই ঘোনা, কচি কাটা, ঘাটঘর, রাবার ড্যাম এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ।
বর্তমানে শতাধিক পরিবার, দেড়শ একর ধানি জমি, বেশক’টি মৎস্য চাষের পুকুর চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ না নিলে সড়কটি নদীতে বিলিন হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা খুটাখালী পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল আবছার হেলালী সড়কটি বর্তমানে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
এমনকি ৭নং ওয়ার্ডের রাবার ড্যাম সংলগ্ন এলাকা চরমভাবে অবহেলিত।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব আমলে নিচ্ছে না। অথচ এই রাস্তাটি দিয়ে হাজারও মানুষ ¿তিনিয়ত আতংক নিয়ে চলাচল করছেন।
এলাকাবাসী জানান, ভাঙন রোধে বিভিন্ন সময়ে আশ্বাসের বাণী শুনা গেলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ মিলছেনা। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, নদী শাসন অত্যন্ত ব্যয়বহুল কাজ। তারপরও রাবার ড্যাম সড়কের ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


















































