গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত পর্যটন এলাকা ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড »
সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালি সমুদ্রসৈকতকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়- বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ও সেবা খাতের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে এবং পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকায় অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বা অন্য কোনরূপ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকল্পে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ এর (৪) ধারার ক্ষমতাবলে এই এলাকা পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
এ লক্ষ্যে সরকার গুলিয়াখালি সমুদ্রসৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯.১০ একর জায়গায়কে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্রসৈকতে রয়েছে কেওড়া ও বিভিন্ন বাহারি গাছগাছালি সমৃদ্ধ সবুজ ঘাসের বিস্তীৃর্ণ এলাকাজুড়ে অসীম জলরাশি। তাই বিগত কয়েক বছর ধরে তাতে পর্যটকদের ভিড় লক্ষণীয়। ইতিমধ্যে পর্যটকদের ভিড়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দপ্তর হতে উর্চ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার উক্ত স্থান পরিদর্শনে আসেন। সর্বশেষ এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গুলিয়াখালি বিচ পরিদর্শন করেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, এ এলাকায় পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভূমি জরিপের মাধ্যমে রাস্তার উন্নয়ন, হোটেল-মোটেল, করার প্রস্তাবনা রয়েছে। উক্ত প্রস্তাবনা অনুমোদন পরবর্তী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।