সুপ্রভাত বাংলাদেশ : চট্টগ্রামের গণপরিবহন ব্যবস্থা কীভাবে উন্নত করা যায়?
কৃষ্ণ পদ রায় : সম্প্রতি ঢাকায় রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ চালু করা হয়েছে। ঢাকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামেও সেটি করা যায়। এতে চট্টগ্রামের গণপরিবহন ব্যবস্থা একটি শৃঙ্খলায় আসতে পারে।
সুপ্রভাত : কিন্তু সিটি মেয়র বলছেন চট্টগ্রামের সড়ক ব্যবস্থা ঢাকার মতো না হওয়ায় এর সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে …
কৃষ্ণ পদ রায় : হ্যাঁ, আমিও বলছি ঢাকা ও চট্টগ্রাম অনুরূপ নয়। তবে চট্টগ্রামের কোন সড়কে মানুষের চাপ বেশি, সড়কভিত্তিক জনসংখ্যা কেমন, কোন সড়কের চওড়া কতটা- এসব বিষয় নিয়ে একটি স্টাডি হওয়ার পর কীভাবে রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ চালু করা যায় তা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তাই সবার আগে প্রয়োজন একটি ডিটেইল ট্রাফিক সার্ভে।
সুপ্রভাত : চট্টগ্রামে এখনো হাতের ইশারায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ চলছে। এই অবস্থার কি উত্তরণ করা যায়?
কৃষ্ণ পদ রায় : অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজটি করে মূলত সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। এসব কাজে তারা আমাদের টেকনিক্যাল ও বাস্তবভিত্তিক সাপোর্ট চাইলে অবশ্যই তা দেওয়া হবে। ডিজিটালাইজেশনের কাজটি সিটি কর্পোরেশন করে দেওয়ার কথা।
সুপ্রভাত : গণপরিবহন ব্যবস্থায় আরেকটি প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে ধীর গতির বাহন-
কৃষ্ণ পদ রায় : সব শহরেই এই চিত্র রয়েছে। তাই বলে ঢালাওভাবে ধীর গতির বাহন বন্ধ করে দিলে মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য পর্যায়ক্রমে এগোতে হবে। তবে ধীর গতির এসব বাহন অবশ্যই গতির রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
সুপ্রভাত : স্কুলকেন্দ্রিক যানজট কিভাবে দূর করা যায় ?
কৃষ্ণ পদ রায় : স্কুলগুলোতে নিজস্ব স্কুলবাস চালু করা যেতে পারে। এতে গণপরিবহনের উপর চাপ কমবে এবং নিজস্ব গাড়ির ব্যবহারও কমে আসবে। ইতিমধ্যে বিআরটিসি নগরীতে ১০টি বাস পরিচালনা করছে।
সুপ্রভাত : নগরীর ফুটপাত কীভাবে দখলমুক্ত করবেন ?
কৃষ্ণ পদ রায় : ফুটপাত অবশ্যই দখলমুক্ত করতে হবে। এজন্য সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যেখানে যা প্রয়োজন আমরা সাপোর্ট দেবো।