কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব নুর আহমদ চেয়ারম্যান

মো. মহসীন »

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে চট্টগ্রাম নগরী বিবিধ সংস্কারসাধন এবং উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছিল, চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকা-ে কতিপয় বিশিষ্টজনের ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে জ্ঞানতাপস নুর আহমদ চেয়ারম্যান অন্যতম, যিনি নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন, শিক্ষা ও সেবামূলক কর্মকা-ের জন্য নিজের যোগ্যতার এক অভূতপূর্ব স্বাক্ষর রেখেছিলেন।
সময়ের আবর্তে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বদ্ধ ছিলো পুরো জাতি, এমতাবস্থায় নগরীর সর্বোত উন্নয়ন সাধনকল্পে নিঃস্বার্থ মানসিকতায় নুর আহমদ চেয়ারম্যানের আবির্ভাব ছিলো ত্রাতার মতো। যার অদম্য কর্মতৎপরতায় নগরীর সবধরনের সামাজিক ও রাজনীতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নুর আহমদ চেয়ারম্যানের যথার্থ ভূমিকা অনস্বীকার্য। কেননা পরাধীনতার শৃঙ্খলা থেকে কোন জাতি তার মুক্ত চিন্তাচেতনার প্রসার ঘটাতে পারে না।
নগরীর সামগ্রিক শিক্ষা বিস্তারে জ্ঞানতাপস নুর আহমদের অদম্য প্রচেষ্টার ফলে একটা শিক্ষিত নগরী গড়ে উঠার ভিত নির্মিত হয়েছিল, শিক্ষার আলো তখন চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়লো, আর তিনি এই সময়ে চট্টগ্রামের অধিবাসীদের শিক্ষা অর্জনের পথকে অনেকটা সুগম করে তোলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম চট্টগ্রামে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালুর প্রবর্তক। তিনি চট্টগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে অবহেলিত নগরীর জন্য যেভাবে নিঃস্বার্থ সেবায় চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন ও জনদরদি কাজ করেছিলেন তা আজও চট্টগ্রামের মানুষ নুর আহমদ চেয়ারম্যানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ১৮৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর নূর আহমদ চট্টগ্রাম শহরের আলকরণ মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খুবই সাদাসিধে প্রকৃতির এবং অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন সুপরিচিত ব্যাবসায়ী হাজী আমজাদ আলী সওদাগর, চট্টগ্রামের আলকরণে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। জনসেবক ও পরোপকারী হিসাবে তাঁর খুব খ্যাতি যশ ছিলো। ১৯১০ সালে তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল থেকে জেলা বৃত্তি নিয়ে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশ করেন। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট দানবীর, স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হাজী চাঁন মিয়া সওদাগরের জেষ্ঠ্য কন্যার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ১৯১২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিভাগীয় ও জেলা বৃত্তি নিয়ে তিনি প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন।
১৯১৫ সালে বি.এ অনার্স-এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। পরবর্তী বছরে তিনি ১৯১৬ খ্রি. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে গোল্ড মেডেল লাভ করেন। ১৯১৭ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল (আইন) পরীক্ষায় প্রথমস্থান লাভ করে কোলকাতা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং আইন পেশায় যোগদান করেন।১৯১৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার নিযুক্ত হন এবং পর পর ৩ বছর তিনি এই পদে বহাল থাকেন।
তিনি তৎকালীন চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের সদস্য এবং অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রাজনৈতিক পর্যায়েও তিনি কংগ্রেস দলের সদস্য ছিলেন এবং চট্টগ্রামের অপর একজন বিশিষ্ট দেশপ্রেমিক নেতা দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের সহযোগী ছিলেন। ১৯১৯-২০ সালে তিনি অসহযোগ-খিলাফত আন্দোলনে যুক্ত হন এবং এমনকি একসময় তিনি পুলিশি নির্যাতনেরও শিকার হয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, ব্রিটিশ আমল থেকে তাঁর কর্মময় জীবনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯২০ থেকে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ সক্রিয়তা বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলো।
১৯২১ সালে নূর আহমদ চট্টগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।তখনকার সময়ে তিনি খুব কম বয়সে পৌরসভার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘ তেত্রিশ বছর টানা তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানজনক দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য যে, নুর আহমদ চেয়ারম্যান নগরবাসীর বাস্তবতা উপলব্ধি করে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সকল শিশু, কিশোর -কিশোরীর স্কুলে ভর্তি ও স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এমনকি বিদ্যালয়ে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকা- সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিশেষ টিম বা পরিদর্শক নিযুক্ত করা হতো, তারা সময়ে সময়ে স্কুল পরিদর্শনে যেতেন এবং কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা যথাসময়ে কর্তৃপক্ষ শোকজ করে অনিয়মের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতেন। মাঝে মাঝে নুর আহমদ চেয়ারম্যান নিজেও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যেতেন এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতেন।
চট্টগ্রাম নগরে শিক্ষিতের হার ছিলো অবিভক্ত বাংলায় সর্বোচ্চ। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে এ বিষয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বঙ্গীয় আইন পরিষদের অধিবেশনে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের রিপোর্ট সূত্রে বলেন যে, শিক্ষার হার ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হারের দিক বিশ্লেষণে সমগ্র বাংলার (অবিভক্ত বাংলা) পৌর এলাকায় চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ স্থান দখল করেছে। আর চট্টগ্রাম পৌর এলাকার এই সম্মানজনক অবস্থান তৈরির ক্ষেত্রে কৃতিত্বের দাবিদার হলেন এই পরিষদের (বঙ্গীয় আইন পরিষদ) সম্মানিত সদস্য জনাব নূর আহমদ।
চট্টগ্রাম শহরে শিশু মঙ্গল ও মাতৃসদন স্থাপনের ক্ষেত্রে নুর আহমদ চেয়ারম্যানের প্রশংসনীয় উদ্যোগ খুবই উল্লেখযোগ্য। প্রতিবন্ধী বালক-বালিকার জন্য চট্টগ্রামে একটি সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর জোরালো ভূমিকা ছিলো। ১৯৩৮সালে চট্টগ্রামের ক্রীড়া জগতের সার্বিক উন্নয়নকল্পে নুর আহমেদের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম এথলেটিক ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। একই সালে চট্টগ্রাম সাহিত্য পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহমদকে চট্টগ্রাম শহরের একটি রাস্তার নাম কবি শশাঙ্ক মোহন সেনের নামে নামকরণ করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি সানন্দে তাতে সম্মতি দেন। চট্টগ্রাম শহরের বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাটের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও উন্নয়ন, পানীয় জলের সরবরাহ বৃদ্ধি করে তিনি নাগরিক জীবনের সুবিধাদির যথেষ্ট বিস্তৃতি ঘটান এবং নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর অবিরাম প্রচেষ্টা আজও স্মরণীয়। চট্টগ্রামের পল্লী অঞ্চলে দাতব্য চিকিৎসালয় বাড়ানোর জন্য তিনি তৎকালীন সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছিলেন।অর্থাৎ চট্টগ্রামের মানুষের সকল প্রকার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি খুবই উদগ্রীব ছিলেন।
১৯২৯ সালে ভারত সম্রাটের জন্মদিন উপলক্ষে সরকার কর্তৃক তাঁকে প্রদত্ত ‘খান সাহেব’ উপাধি তিনি প্রত্যাখ্যান করতে আদৌ কুণ্ঠাবোধ করেননি। তিনি গভর্নর জেনারেলকে পত্রযোগে সসম্মানে জানিয়ে দেন যে, ‘উপাধি প্রকৃত দেশসেবার অন্তরায়।’ বিশেষ করে তাঁরদেশ ও সমাজসেবার প্রতি বাস্তব কর্মকা-ের অবিচল প্রবণতা খুবই লক্ষণীয় ছিলো।
১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে রাজনৈতিক দলসমূহের সম্মিলিত অধিবেশনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাঁর অপারগতায় মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী এই পদ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের প্রতি তাঁর সহানুভূতির অভাব পরিলক্ষিত হয়নি। ১৯৩৬ সালে তিনি সরকার প্রদত্ত করোনেশন মেডেলও প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি কোন অ্যাওয়ার্ড এ বিশ্বাসী ছিলেন না। ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম দমননীতি বিরোধী ও রাজনৈতিক বন্দি সাহায্য সমিতির তিনি পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি বরাবরই মুসলিম লীগকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির বাহিরে ও কংগ্রেস বিদ্বেষ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতেন। ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময়ে তিনি বঙ্গীয় আইনসভায় দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ অবস্থার বয়ানপূর্বক এর জরুরি প্রতিকারের জন্য তৎকালীন সরকারের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি একজন সুবক্তা ও সাংসদ হিসেবে তাঁর সুনাম জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান যখন সৃষ্টি হয়,তখন প্রথম গণপরিষদে নূর আহমদ চেয়ারম্যান সাত বছর ধরে লাগাতার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। একজন সুবক্তা ও দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে তিনি পূর্ববাংলার জনগণের পক্ষ থেকে নানা অভাব-অভিযোগ প্রায়শ তুলে ধরতেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি কেন্দ্রের অসমনীতির প্রেক্ষিতে তিনি সমাধানের পথ হিসেবে কতকগুলো বাস্তব প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছিলেন, বাংলা ভাষাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদানের জন্যে তিনি সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। পাকিস্তান গণপরিষদে নূর আহমদ চেয়ারম্যান এত বেশি প্রশ্ন উত্থাপন করতেন যার দরুণ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান মন্তব্য করেছিলেন, ‘মি. নূর আহমদ, মনে হয় অধিবেশন তো শুধু আপনার জন্যেই ডাকা হয়েছে।’ প্রকৃতপক্ষে নুর আহমদ চেয়ারম্যান ছিলেন একজন মেধাবী পার্লামেন্টেরিয়ান।
১৯৫৪ সালে নূর আহমদ চেয়ারম্যান স্বেচ্ছায় পৌরসভার সর্বোচ্চ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর অবসর জীবন প্রধানত গ্রন্থ রচনার কাজে ব্যয় হয়। তিনি মুসলমানদের পুনর্জাগরণের জন্যে তাঁদের অতীত গৌরবের ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন।বিশ্বের ইতিহাস বিষয়ে তাঁর পা-িত্য ছিল অপরিসীম । তাঁর লিখিত গ্রন্থসমূহ হলো, ঋড়ৎঃু এৎবধঃ সবহ ধহফ ডড়সবহ রহ ওংষধস (১৯৫৭); ঞযব জরংরহম ওংষধস (১৯৫৮); ওংষধস ধহফ রঃং চৎড়ঢ়যবঃ ধং ঔঁফমবফ নু ঃযব ঘড়হ গঁংষরসং; ঐড়ষু ছঁৎধহ ঝপরবহপব ধহফ গড়ফবৎহ কহড়ষিবফমব; ঊফঁপধঃরড়হ ধহফ ঊফঁপধঃরড়হধষ চৎড়নষবসং; অ ঝযড়ৎঃ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ঃযব গঁংষরস ঐরংঃড়ৎরধহং, ঞৎধাবষষড়ৎং, এবড়মৎধঢ়যবৎং ধহফ ড়ঃযবৎ ডড়ৎশং (১৯৫৭); ঊধংঃ চধশরংঃধহ ধং রঃ রং হড়ি ধহফ ঝড়সব ড়ভ রঃং টৎমবহঃ ঘববফং ধহফ চৎড়নষবসং (১৯৬৬); এষরসঢ়ংবং ড়ভ ওংষধস.
তাঁর আরও কিছু গ্রন্থ অপ্রকাশিত ছিলো, নিজের হাতের পা-ুলিপিগুলো কালের ব্যবধানে অযতেœ থাকার ফলে বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর গ্রন্থসমূহে ইসলামের অতীত গৌরব ও ইসলামি ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। সময় সময় তিনি পায়ে হেঁটে তাঁর আলকরণের বাসা থেকে আন্দরকিল্লা পৌর অফিসে যাওয়া আসা করতেন। বিলাসিতা, আরাম-আয়েশ তাঁকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯৬৪ সালের ২২ অক্টোবর এই বিখ্যাত মনীষীর জীবনাবসান ঘটে। সুদীর্ঘ ৪০ বছরেরও অধিক সময় সক্রিয়, কর্মময় জীবনের পরিক্রমায় নুর আহমদ সাহেব ছিলেন তুখোড় রাজনীতিবিদ, পার্লামেন্টারিয়ান, শিক্ষাবিদ, সুবক্তা, লেখক, সমাজসেবক প্রভৃতি হাজারো গুণে গুণান্বিত এক বিস্ময়কর প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব।
লেখক : প্রাবন্ধিক