কর্ণফুলীতে স্কুল শিক্ষিকার বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নে নিরীহ স্কুলশিক্ষিকা সুফিয়া আকতারের বসতঘর ভেঙে জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার পটিয়া সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতের বিচারক শুনানি শেষে বিরোধীয় জায়গায় স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয়পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ১১ নবেম্বর (বুধবার) শিক্ষিকার প্রতিপক্ষ ওবায়দুল হক রনি, এনামুল হক, সিরাজুল হক, জোহরা বেগম, ইউছুফ, তামান্না বেগম বহিরাগত লোকজন দিয়ে দখল করে নিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মোনাফ জমাদার বাড়ির শিক্ষিকা সুফিয়া আকতারের স্বামী মো. শাহানুরের সঙ্গে একই এলাকার মৃত মো. নাজেম আলীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে শিক্ষিকা থানা প্রশাসনের শরণাপন্ন হলেও অদৃশ্য কারণে কোন সহযোগিতা পাননি।
শিক্ষিকার অভিযোগ, প্রতিপক্ষের রনি নামের একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। যার কারণে আইনি কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে শিক্ষিকা পটিয়া দেওয়ানি আদালতে ১২৮/১৯ একটি মামলা করেন। ওই মামলাটি শিক্ষিকার পক্ষে পরিচালনা করেন পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল। শুনানি শেষে বিচারক বিরোধীয় জায়গার উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন বলে অ্যাডভোকেট জানান।
শিক্ষিকা সুফিয়া আকতার জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষের লোকজন খুবই প্রভাবশালী। যার কারণে পুলিশের কোন সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ পর্যন্ত থানা পুলিশসহ শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিটি ঘটনা অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি। বর্তমানে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক বসতঘর ভেঙে দখল করে নিয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ কারো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।