সুপ্রভাত :
বছরের শেষে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মহামারির মধ্যে নিজের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্চ মাসে দেশটিতে লকডাউন শুরুর পর এই প্রথম জনসভায় বক্তব্য রাখলেন মি. ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, টুলসার ব্যাংক অব ওকলাহোমা সেন্টারের এই অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিতে প্রায় দশ লাখ লোক টিকেট চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর পর দেখা যাচ্ছে ১৯ হাজার আসনের ওই সেন্টারটি পুরো ভরেনি, এবং জনসভায় আসা সমর্থক যারা ভেতরে জায়গা না পেয়ে বাইরে অপেক্ষমাণ, তাদের জন্য আলাদা ভাষণ দেবার মি. ট্রাম্পের পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের কারণে কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশংকা করা হয়েছে।
র্যালির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নির্বাচনী প্রচারণা দল জানিয়েছে তাদের ছয়জন কর্মী যারা এই জনসভা আয়োজন করছিল তারা কোভিড-১৯ পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছেন।
মি. ট্রাম্পের এই জনসভা মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ইন-হাউজ জনসমাগমের একটি।
অনুষ্ঠানে আসা সমর্থকদের কোন ধরণের অসুস্থতার জন্য নির্বাচনী প্রচারণা দল দায়ী থাকবে না – মর্মে এক ফর্মে স্বাক্ষর করেই জনসভায় যোগ দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। জনসভা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে, এমন একটি আর্জি শুক্রবার ওকলাহোমার সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন দল জানিয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে শরীরের তাপমাত্রা মেপে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে, এবং প্রত্যেককে মাস্ক দেয়া হবে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২২ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এবং ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন। তবে, টুলসার এই অনুষ্ঠানে এক লাখের মত মানুষ আসবেন বলে ধারণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত উপস্থিতি তার চেয়ে অনেক কম হয়েছে।
ট্রাম্প কী বললেন?
উদ্বোধনী ভাষণে মি. ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাইরে অনেক খারাপ মানুষ ছিল, তারা খুবই খারাপ কাজ করছিল – তবে তিনি এর বিস্তারিত জানাননি। করোনাভাইরাসের জন্য দেয়া সতর্কতার মধ্যেই জনসভায় উপস্থিত হওয়া সমর্থকদের তিনি ‘যোদ্ধা’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মানুষের সংখ্যা অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বেশি। ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘কট্টর বামদের অসহায় পুতুল’। দেশের কিছু করোনাভাইরাস কেসের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মি. ট্রাম্প। একই সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশটিতে হওয়া সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বামপন্থীরাই মূর্তি অপসারণের কাজ করেছে।