নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
সম্পদের হিসেব দিতে কক্সবাজার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কার্যালয়ে সপরিবারে এসেছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তার সাথে ছিলেন, স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ও মেয়ে তানিয়া আফরিন।
জানা গেছে, সংস্থাটির দেয়া নোটিশের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুদকের সমন্বিত কক্সবাজার কার্যালয়ে আসেন তিনি। আর বের হন বিকাল ২টার পর। ২ ঘণ্টার পর একা বের হয়ে দ্রুত উঠে গেলেন গাড়িতে। আর গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। এটাই লিখেন আপনারা।’
টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বের হন স্ত্রী এবং ২ সন্তান। এসময় তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘সরকারি মেগা প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে পিতা (এমপি জাফর) প্রতিবাদ করেছেন। যারা ইতিমধ্যে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের কবলে পড়েছেন এদের একটি চক্র পিতা, মাসহ আমাদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছে। এর কোন ভিত্তি নেই।’
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এমপি জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগম চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সরকারি জমি, চিংড়ির ঘের, জলমহাল দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে শাহেদা বেগম কোটি কোটি টাকার এসব অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংসদ সদস্য জাফর আলম, তার স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই দিন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন থাকায় এমপি জাফর দুদকে সময় চেয়ে আবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে ২০ সেপ্টেম্বর হাজির হওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করে সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ দেয়া হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ১২টার দিকে এমপি, তার স্ত্রী, ২ সন্তানকে নিয়ে দুদক কার্যালয়ে হাজির হন।
বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এব্যাপারে এখনও কথা বলার সময় হয়নি। অপেক্ষা করেন।’