‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিজনিত কারণে দৃশ্যমান সংকট যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে অবৈধ পথে সরকার উৎখাতের জন্য অরাজকতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন অযৌক্তিক ইস্যুতে জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাস ও সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। অতীতে আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে তাদের প্রতিহত করেছে। এক্ষেত্রে নগর আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই পরিস্থিতিতে নগর আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথ দখলে রেখেছে। এবারও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগকে তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে তৃণমূল স্তরে সাংগঠনিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে হবে।’
শনিবার সকালে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের ১৫টি থানার সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়কদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যের ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপিসহ গুটি কয়েক রাজনীতিক দল আবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন মতবিনিময় সভার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করে বলেন, নগর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তার সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো চলমান রেখেছে। একই সাথে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম চলছে। মতবিনিময় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো ৬ সেপ্টেম্বর নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সভায় প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির উপস্থিতিতে বাকী যে সকল ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়নি সে সকল ওয়ার্ডে সাংগঠনিক অবস্থা যাচাই বাছাই ও পর্যবেক্ষণ করে সুবিধা অনুযায়ী সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, নগর আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে সংগঠনের তৃণমূল স্তরকে শক্তিশালী করে যাচ্ছে। আদর্শিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এর নিকট গঠিত ১৫টি থানার বিভিন্ন সাংগঠনিক সুবিধা অসুবিধাগুলো তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় হালিশহর থানা আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, বাকলিয়া থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, কোতোয়ালী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষ, খুলশী থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, ইপিজেড থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, চকবাজার থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, পাহাড়তলী থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, পতেঙ্গা থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সদরঘাটা থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, বন্দর থানার আহ্বায়ক ও নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ উপস্থিত থেকে নিজ নিজ থানার সাংগঠনিক অবস্থান সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। বিজ্ঞপ্তি