সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি উন্নয়ন কর (ল্যান্ডট্যাক্স) জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো ম্যানুয়ালি চলছে। ফলে জমির মালিকদের ট্যাক্স পরিশোধে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই ট্যাক্স প্রদান সহজিকরণে আগামী বছর এপ্রিল থেকে পুরোপুরি অনলাইন সিস্টেম চালু করা হবে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। সোমবার রাজধানীর ভূমি মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত মর্টগেজ ডাটা ব্যাংক এবং মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর ঢাকা পোস্টের।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, মর্টগেজ সম্পত্তিকে আরও নিরাপদ করার জন্য আজ (গতকাল) আমরা এ সিস্টেমের উদ্বোধন করেছি। এক সময় একটা জমিকে কয়েক জায়গায় বন্ধক দেওয়া হতো। এ নিয়ে প্রচুর জালিয়াতিও হতো। ডাটা ব্যাংকিং সিস্টেমের ফলে যে পুরো মর্টগেজ বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের কাছে পরিষ্কার থাকবে। ফলে জালিয়াতির কোনো সুযোগ থাকবে না। আমার সহকর্মীদের প্রাইভেট সেক্টর মেন্টালিটির জন্য এই ডিজিটালাইজেশনের কাজটা করা সম্ভব হয়েছে। তারা আমার চিন্তাভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারেন।
তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় জটিল একটি মন্ত্রণালয়। পূর্বে এই মন্ত্রণালয়ের ইমেজ সংকট ছিল। সেবা গ্রহণ করতে আসা ব্যক্তিরা নানা রকম সমস্যায় পড়তেন। কিন্তু সেই চিত্র আমরা অনেকটাই বদলে ফেলেছি। নামজারি এখন পুরোটাই ডিজিটালসিস্টেম হয়ে গিয়েছে। আমি ভূমি মন্ত্রণালয়কে জনবান্ধব একটি মন্ত্রণালয় হিসেবে তৈরি করতে চাই।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের পিএএ সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।
এদিকে বন্ধককৃত জমি একাধিকবার বন্ধক, ক্রয় বিক্রয় বা নামজারি সংশ্লিষ্ট জালিয়াতি রোধে মর্টগেজ ডাটা ব্যাংক সিস্টেম স্থাপন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ সিস্টেমের সূবিধাসমূহ হলো
১. ব্যাংক, সাব-রেজিস্ট্রার/ভূমি অফিস এবং নাগরিক কর্তৃক জমির বন্ধক সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে। ২. বন্ধককৃত জমি নতুন করে বন্ধক/ক্রয় বিক্রয়/নামজারির সুযোগ রহিতকরণ। ৩. বন্ধককৃত জমি নিয়ে প্রতারণা বন্ধ হবে। ৪. অর্থঋণ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নামজারি করা সহজ হবে। ৫. সব ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চলমান ও ভবিষ্যতের বন্ধকী জমির অনলাইন ডাটাবেজ থাকবে।