একনেকে প্রকল্প, উন্নয়ন পরিপূর্ণ হতে সহায়ক হবে

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকার ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২১ হাজার ৫৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান সহায়তা ২৯ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের চারটি প্রকল্প। প্রকল্পগুলো হলো, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্প’, ‘আনোয়ারা উপজেলা সংযোগ সড়কসহ কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ (শিকলবাহা-আনোয়ারা সড়ক) প্রকল্প’, ‘চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন-১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েলগেজ রেলপথে রূপান্তর’ প্রকল্প।
সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এটাও সম্ভবত একনেকের শেষ সভা। ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকার ৩৭টি প্রকল্প সুবিশাল কর্মযজ্ঞ বলতে হবে। প্রকল্পগুলোর বিবরণ দেখে মনে হলো শেষ মুহূর্তে হলেও সবকটি প্রয়োজনীয় প্রকল্প। বিশেষ করে চট্টগ্রামের যে চারটি প্রকল্প পাশ করা হয়েছে ওগুলো না হলে এরমধ্যে সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পগুলোর পুরোপুরি সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব হতো না। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে সড়কটি মহাসড়কে পরিণত করে কমপক্ষে চার লেনে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের। এটা যত তাড়াতাড়ি হবে ততই ভোগান্তি কমবে যাত্রীদের।
আনোয়ারা থেকে টানেল পর্যন্ত চার লেনের সড়ক না হলে টানেলের পুরো সুফল পাওয়া যাবে না। তেমনিভাবে ‘চাতুরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন-১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পটিও জরুরি।
অন্যদিকে বর্তমান সরকারের বিশাল কর্মযজ্ঞের আরেকটি হলো, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করা। এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কারণ শেখ হাসিনার আগে এ বিষয়ে আর কেউ এভাবে ভাবেননি এবং ভাবনাকে সফল করতেও পারেননি। তবে এই বিশাল সুবিধা আটকে আছে দুটি জায়গায়। একটি হলো কালুরঘাটে নতুন একটি বহুমুখী সেতু অন্যটি চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত পুরনো রেলপথ। এই রেলপথকে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা গেলে রেলের গতি স্লথ হবে না কোথাও।
একনেকে পাশ হওয়া প্রকল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ কোনোভাবে যেন রুদ্ধ না হয় সে চেষ্টা করে যেতে হবে আমাদের।