ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটছে চম্পার

সুপ্রভাত ডেস্ক
১৯৮৬ সালে প্রয়াত শিবলী সাদিকের ‘তিন কন্যা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী গুলশান আরা আক্তার চম্পার। তবে ১৯৮১ সালে ছোটপর্দায় প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘ডুবসাঁতার’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় অঙ্গনে আগেই যাত্রা শুরু হয় তার। খবর বাংলানিউজের।
একসময় নিয়মিত দাপিয়ে বড় পর্দায় অভিনয় করতেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা। তবে সম্প্রতি করোনাকালে কোনো শুটিং করছেন না তিনি। পরিবার ও ইবাদত-বন্দেগি নিয়েই এখন ব্যস্ততা তার।
চম্পা বলেন, করোনার কারণে এখন আর কাজ করছি না। বাসায় সময় কাটাচ্ছি। ধর্মকর্ম আর ইবাদত-বন্দেগি করছি, বাসার বিভিন্ন কাজ করছি। তাছাড়া আধুনিক এই সময়ে মোবাইলের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি খোঁজ-খবর নিয়ে সময় কেটে যাচ্ছে আমার।
চম্পা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’ মুক্তি পেয়েছে গত ডিসেম্বরে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং মনের মতো গল্পে পেলে আবারও নতুন সিনেমায় তিনি অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বই দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়িকা চম্পা। সামাজিক, অ্যাকশন, ফোক-সব ধরনের চলচ্চিত্রে তিনি দারুণভাবে সফল হন।
চম্পা-সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলো হলো- গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, শাহজাহান চৌধুরীর ‘উত্তরের খেপ’ ও শেখ নেয়ামত আলীর ‘অন্যজীবন’। আর সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে দু’বার চাষী নজরুলের ‘শাস্তি’ এবং মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও ‘শেরেবাংলা পদক’ পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।