ইউক্রেন আক্রমণ করলো রাশিয়া

সুপ্রভাত ডেস্ক »
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তিন দিক থেকে অভিযান শুরুর পর এখন রাজধানীর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, কিয়েভে সরকারি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে গ্র্যাড মিসাইল ছুড়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ সৈন্যরা।
রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চলের আকাশে কয়েকটি হেলিকপ্টার নিচু দিয়ে উড়তে দেখেছেন বলে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন। এ সময় কিয়েভের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, বিবিসির ইউক্রেন সার্ভিসের সম্পাদক মার্তা শোকালো বলেছেন, ইউক্রেনে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। তিনি বলেন, আমি একজন সহকর্মীর কাছ থেকে ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণের ঘোষণার বার্তা পাওয়ার পর রাতে জেগে ছিলাম। এরপরই শুরু হয় বিস্ফোরণ। তিনি বলেন, আমি বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। শহরের বিভিন্ন অংশের লোকজন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠাতে শুরু করেছে যে তাদের কাছাকাছি বিস্ফোরণ ঘটছে।
মার্তা শোকালো বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের সম্মুখভাগ নয়, বরং কিয়েভ আক্রমণের মুখে ছিল। এটি বুঝতে পারাটা ছিল বড় ধাক্কা। ইউক্রেনে আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। ‘এখানে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং ইন্টারনেট কাজ করছে না। আমরা সত্যিই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ব। দেশে আতঙ্কের হাওয়া বইছে, এখন আমরা জানি গোটা দেশ আক্রমণের মুখে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মতো পড়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের চেরনিহিভ, খারকিভ এবং লুহানস্ক সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার রুশ সৈন্য স্থলপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আক্রমণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছে।

ইউক্রেইন থেকে বাংলাদেশিদের পোল্যান্ড হয়ে ফেরানোর পরিকল্পনা

ইউক্রেইনে যুদ্ধাবস্থার মধ্যে পড়া বাংলাদেশিদের পোল্যান্ড হয়ে ফেরানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেইন থাকা আড়াইশ বাংলাদেশি পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশি আছেন পাঁচশর মত।
‘আমরা বলেছিলাম, ইউক্রেইন থেকে যারা চলে আসতে চান, তাদের বের হয়ে আসার জন্য। এক্ষেত্রে কারও যদি কোনো সহায়তার দরকার হয়, ওয়ারশতে আমাদের যে দূতাবাস আছে, তারা সহযোগিতা করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পোল্যান্ডের সরকারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন জানিয়েছিলাম, তারা বলেছেন যেহেতু তাদের কারও পোলিশ ভিসা নেই, ইউক্রেইনে যদি এমন পরিস্থিতি সত্যিকার অর্থে উদ্ভূত হয়, তাহলে তারা ভিসার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা করবেন। তবে সেটি বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।’
‘আজকে সকালে আমরা পররাষ্ট্র দপ্তরে আবার অ্যাপ্রোচ করেছি, যে আমাদের এই আড়াইশর মত বাংলাদেশি ইউক্রেইন থেকে সীমান্ত পার হয়ে পোল্যান্ডে আসতে চান। তাদেরকে যেন অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হয় এবং আমাদের দূতাবাস তাদের পরিচয় নিশ্চিত করবে।’

‘আমি সাতটি রকেট গুনেছি’
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রাজধানী কিয়েভের কাছ থেকে এক সাংবাদিক সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরে জানিয়েছেন, তিনি সাতটি রকেট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। কিয়েভের নিকবর্তী একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বসবাস করা এই সাংবাদিকের নাম লুবোভ ভেলিচকো বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভেলিচকো জানান, ‘প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে’ ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ঘুম ভেঙে যায় তার, কী হচ্ছে কিছু জানতেন না তিনি। ‘আমি বাইরে বের হয়ে আসি আর আগুনের মতো কিছু দেখলাম।’
ভেলিচকো জানান, তার প্রতিবেশীরা প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে আর তাদের মধ্যে কয়েকজন কাঁদছিলেন।
কৃষ্ণ সাগরের ক্রাইমিয়া উপকূলের সেবাস্তপোল বন্দরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে আছে।

আজোভ সাগরে নৌ চলাচল বন্ধ

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আজোভ সাগরে বাণিজ্যিক নৌযানের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া, তবে নৌ চলাচলের জন্য কৃষ্ণ সাগরের জলপথ খোলা রেখেছে।
বৃহস্পতিবার একাধিক কর্মকর্তা ও শস্য খাতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া মূলত তার কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকেই জাহাজে শস্য সরবরাহ করে। আজোভ সাগরে দেশটির স্বল্প ধারণ ক্ষমতার একাধিক অগভীর বন্দর আছে।

লিথুয়ানিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি

ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলার পর লিথুয়ানিয়ার দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা। তবে বিষয়টি পার্লামেন্টে পাস হতে হবে। বেলারুশ ও রাশিয়ায় বিপুল সৈন্য সমাবেশের প্রেক্ষিতে নেটো জোটভুক্ত দেশগুলোকে সীমান্তে সৈন্য মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এক সময় মস্কোর শাসনে থাকা লিথুয়ানিয়া এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, সামরিক জোট নেটোতেও তারা আছে। দেশটির সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের সাথে। বেলারুশ থেকেও ইউক্রেইনে আক্রমণ করছে রাশিয়া। রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ার মধ্যবর্তী একটি ছিটমহল।

ইউরোপের জন্য অন্ধকার দিন: জার্মান চ্যান্সেলর

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘অযৌক্তিক এবং স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বার্লিন তার অংশীদার জি-৭, নেটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করবে।
‘ইউক্রেনের জন্য এটা ভয়ানক এক দিন এবং ইউরোপের জন্য একটি অন্ধকার দিন।’

‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউক্রেইনে ‘বর্বরোচিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নতুন ও কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবারের পর এক জরুরি বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন জোটের নেতারা।
ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, ‘ইউরোপে যুদ্ধ ফেরানোর জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইইউ তাকে এর জন্য দায়ী করবে।’
রাশিয়ার প্রধান প্রযুক্তিখাত এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলোকে নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং তার আধুনিকীকরণের ক্ষমতা দুর্বল করব।ৃ আমরা ইইউতে রাশিয়ান সম্পদ জব্দ করব এবং ইউরোপের বাজারে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর প্রবেশ বন্ধ করব।’
ইউক্রেইনের দুই অঞ্চলকে রাশিয়া স্বীকৃতি দেওয়ার পর বুধবার প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় ইইউ। রাশিয়ার শীর্ষ রাজনীতিবিদদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয় সেখানে।
ব্রিটিশ জুনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিও বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেবে, তা হবে ‘নজিরবিহীন’। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু এবং মিত্রদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছি। রাশিয়ার ভয়ঙ্কর এই সিদ্ধান্তের শাস্তি হিসাবে অভূতপূর্ব ও সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার আরোপ করতে যাচ্ছি।’

৫০ রুশ সেনা নিহত, ৪ ট্যাংক ধ্বংস: ইউক্রেইন

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের কাছে একটি রাস্তায় রাশিয়ার চারটি ট্যাংক তারা ধ্বংস করেছে। লুহানস্ক অঞ্চলের একটি শহরের কাছে ৫০ রুশ সেনাকে তারা হত্যা করেছে। এ ছাড়া রাশিয়ান বিমান ভূপাতিত করার দাবিও তারা জানিয়েছে। ট্যাংক ধ্বংস কিংবা বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনের বর্ডার গার্ড সার্ভিস জানিয়েছে, দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে তাদের তিনজন সেনা নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেইনে যুদ্ধ নেটোর উসকানিতে: ইরান
পশ্চিমা সামরিক জোট নোটোর ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে’ ইউক্রেইনে যুদ্ধের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার মিত্র দেশ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। বৃহস্পতিবার এক টুইটে তার এ মন্তব্য আসে।

রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল ইউক্রেইন

ইউক্রেইন ভুখণ্ডে রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে কিয়েভ আনুষ্ঠানিকভাবে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ঘোষণা দেন।

নাগরিকদের যুদ্ধে নামার আহ্বান জেলেনস্কির

দেশকে রক্ষায় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেইনের নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যারা অস্ত্র চাইবে তাদের তা দেওয়া হবে।
যুদ্ধ বন্ধ করুন: পুতিনকে জাতিসংঘ মহাসচিব
শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘মানবতার নামে’ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ইউক্রেইন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এক বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন, মানবতার দোহাই, আপনার সেনাদের রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিন।’
যুদ্ধ ইউক্রেইনের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর পরিণতি সুদূরপ্রসারী হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

রুশ বিমান ও হেলিকপ্টার গুলি করে নামানোর দাবি ইউক্রেইনের

ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দাবি করেছেন, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেইনে হামলা শুরু করার পর আগ্রাসী বাহিনীটির পাঁচটি এয়ারক্র্যাফট ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে।
রুবলের মান তলানিতে
প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেইনে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পর ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে রুশ মুদ্রা রুবলের মান। এ পরিস্থিতিতে লেনদেন স্থগিত করেছে মস্কো এক্সচেঞ্জ।
রয়টার্স জানায়, সকালে মস্কোর বাজারে লেনদেন শুরুর মিনিট খানেকের মধ্যেই রুবলের দর ডলারের বিপরীতে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ পড়ে যায়।
এক বিবৃতিতে মস্কো এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, ‘সব বাজারেই রুবলের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। লেনদেন আবার চালুর বিষয়ে পরে জানানো হবে।’

‘এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না কেউ’

বিবিসির পূর্ব ইউরোপের প্রতিবেদক সারাহ রেইনসফোর্ড ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চলের ক্র্যামাতোরস্কে আছেন। তিনি লিখেছে, সামনে কী আসছে তা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তিনি বলেন, ‘ওই এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি ঘোলাটে। গত রাতেও লোকজন শহরের রাস্তায় ছিল, তারা ইউক্রেইনের পতাকা উড়িয়েছে। তারা বলছিল এটা তাদের এলাকা। তারা কোথাও যাবে না।’
‘খারাপ পরিস্থিতির একটা আশঙ্কা ছিল তাদের মনে। কিন্তু সত্যি সত্যি সেটা ঘটতে শুরু করেছে, এখনও এটা কেউ বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না।’

অস্বাভাবিক শান্ত কিয়েভের রাজপথ

ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার সকাল ছিল একেবারেই অন্যরকম। অস্বাভাবিক শান্ত হয়ে আছে চারপাশ, রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।
একজন পর্যটক বিবিসিকে বলেছেন, ভোরে বিমান হামলার পাগলাঘণ্টি বাজার পর তার হোস্টেল তাকে বের করে দিয়েছে এবং শহরজুড়ে সতর্ক ঘণ্টা বাজিয়ে চলেছে সরকার।
রাস্তায় সুটকেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ওই পর্যটক একা নন, আরো অনেকেই বিবিসিকে বলেছেন, কী করতে হবে বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। অনেকে আবার কথা বলে সময় নষ্ট করছেন না, দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে যাচ্ছেন।
কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন না। সুপারমার্কেট এবং এটিএম বুথের সামনে মানুষজনের দীর্ঘ সারি দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ইউক্রেইনে থাকা চীনাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ

ইউক্রেইনে চীনের দূতাবাস সেদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদেরকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িতেই অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছে।
রয়টার্স জানানয়, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর অভিযান এবং বিভিন্ন শহরে গোলাবর্ষণের খবর পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এমন বিবৃতি দিয়েছে চীনের দূতাবাস।
ইউক্রেইনের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে গেছে, সামাজিক শৃঙ্খলাও বিশৃঙ্খলায় রূপ নিতে যাচ্ছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে চীনা নাগরিকদের ইউক্রেইন ত্যাগের কোন কথা বলা হয়নি।

ইউক্রেনে রুশ হামলাকে ‘আক্রমণ’ বলতে নারাজ চীন

ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে ‘আক্রমণ’ বলতে নারাজ চীন। বৃহস্পতিবার মস্কোর পদক্ষেপকে প্রকাশ্যে নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বেইজিং। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক এখবর জানিয়েছে।
বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুয়া চুনিয়িং এই বিষয়ে এক সাংবাদিকের ব্যবহার করা আক্রমণ শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি পশ্চিমাদের বর্ণনা। তিনি জানান, চীন দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না। বলেন, চীন নিবিড়ভাবে ইউক্রেনের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছে চীন। তিনি আরও জানান, চীনের বছর ধরে পর্যালোচনায় পরিস্থিতি জটিল বলে উঠে এসেছে।
মস্কোর কোনও সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের কথা তুলে ধরেছেন। যে প্রতিশ্রুতিতে রাশিয়া ইউক্রেনের নগর এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে না বলে জানিয়েছে।
কিয়েভ ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভের কাছে গোলা এসে পড়ার পর শহরটি ছেড়ে বাসিন্দাদের পালানোর খবর আসছে।বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কো সময় ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ইউক্রেইনে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। এর কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেইনে প্রথম গোলাবর্ষণ হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়।
হামলা শুরুর পরপরই কিয়েভে সতর্ক ঘণ্টা বাজতে শুরু করে, একটি ছবিতে দেখা যায় রাস্তায় যানবাহনের সারি। সবাই শহর ছাড়ার চেষ্টা করায় এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাপ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার সাক্ষ্য দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, তারা বোমার হাত থেকে বাঁচতে বেজমেন্ট ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুটছেন। টেলিভিশনের ফুটেজে রাস্তায় দলবেঁধে লোকজনকে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দুর্বলতা’ খুঁজে পেয়েছেন পুতিন: ট্রাম্প

ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও মুখ খুলেছেন। তার দাবি, ক্ষমতায় তিনি থাকলে এমনটা কখনোই ঘটত না।
ট্রাম্প বলেন, পুতিন প্রাথমিকভাবে হামলা করার কথা ভাবেননি বলেই তার বিশ্বাস।
‘আমার ধারণা তিনি কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন, তারপর মধ্যস্থতা; এটা খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে, তারপর তিনি দুর্বলতা দেখতে পেয়েছেন।’
ট্রাম্পের ভাষায়, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের যে ‘দুর্বলতা’ প্রকাশিত হয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেইনে আক্রমণের পেছনে সেটাও অংশত দায়ী।

কিয়েভে পাগলাঘণ্টি

কিয়েভের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেইনের কয়েকটি শহরে আক্রমণ করেছে এবং সেদেশের দক্ষিণ উপকূলে রুশ সেনা অবতরণ করেছে।
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরেই কিয়েভজুড়ে জরুরি সতর্ক ঘণ্টা বেজে ওঠ। দেশের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের বাজিনী ও তাদের অধীনে থাকা স্থাপনা ও বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তুমুল গোলাবর্ষণ শুরু করেছে রুশ সেনারা।
ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিমান বাহিনী রাশিয়ার বিমান হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। তবে ওডেসা শহরে রুশ সেনাদের অবতরণের খবর ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছে তারা।
কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দরের কাছেও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিধ্বংসী’ অবরোধ আরোপের আহ্বান ইউক্রেইনের

রাশিয়ার হামলার জবাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কী করণী তার একটি তালিকা টুইট করেছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। তিনি লিখেছেন, বিশ্বকে এখনই ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নিতে হবে; ইউরোপ ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ ‘হুমকির মুখে’।
আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করাসহ মস্কোর বিরুদ্ধে ‘বিধ্বংসী অবরোধ’ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন কুলেবা।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের উচিত ‘রাশিয়াকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।’
একইসঙ্গে ইউক্রেইনকে অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশ করা ছবিতে রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের দৃশ্য।ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশ করা ছবিতে রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের দৃশ্য।
রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে: ইউক্রেইন
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি বলেছেন, তার দেশের অবকাঠামো ও সীমান্ত রক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তিনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইনের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানোর কথা স্বীকার করেছে, তবে কোনো শহরের ওপর হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে আক্রমণ পরিচালনা করছে তারা।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশ করা একটি ছবিতে রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণের দৃশ্য এসেছে।
তেলের ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়াল
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ষোষণার পর বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মত ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে।
সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। সেইসঙ্গে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়াতেই উত্তোলন করা হয়। আর ওই গাসের ওপর ইউরোপ অনেকটা নির্ভরশীল।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই চাপের মধ্যে ছিল বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার। সংকট কাটিয়ে উঠতে চাহিদার সঙ্গে যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক জোট উৎপাদন বাড়িয়ে সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে। তবে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় জ্বালানি তেলের বাজার যে অস্থির হয়ে উঠবে তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। ইউক্রেইন সংকট সেই ‘আগুনে ঘি ঢেলেছে’।
জেপিমরগান চেজ অ্যান্ড কো. বলছে, ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তেলের গড় দাম ১১০ ডলারও ছাড়াতে পারে। পরবর্তী প্রান্তিক পর্যন্ত এই উচ্চ দাম অব্যাহত থাকতে পারে।
জবাব দেবে মিত্ররা: বাইডেন
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে ‘বিনা উসকানিতে অন্যায্য হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মিত্ররা এর জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ভ্রাাদিমির) পুতিন একটি পরিকল্পিত যুদ্ধ শুরু করেছেন, যা মানুষের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় আর দুর্দশা ডেকে আনবে।’
‘এই হামলা যে ধ্বংস ডেকে আনবে, যে প্রাণক্ষয়ের কারণ হবে, তার দায় পুরোপুরি রাশিয়াকেই বহন করতে হবে। সেজন্য বিশ্বের কাছে রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে।’
বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর কী কী ব্যবস্থা নেবে, বৃহস্পতিবারই সেই ঘোষণা আসবে।
‘আগ্রাসন শুরু হয়েছে’
ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এক টুইটে বলেছেন, ‘পুতিন এইমাত্র ইউক্রেইনে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করেছেন।’
ইউক্রেইন ‘আত্মরক্ষা করবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুতিনকে অবশ্যই থামাতে হবে, বিশ্ব তা পারবে।’
রয়টাসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেইনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়েৎসা বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত তাকে নিশ্চিত করেছেন তার প্রেসিডেন্ট (পুতিন) ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন।
ইউক্রেইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএনএনকে বলেছে, ‘আগ্রাসন শুরু হয়ে গেছে।’
কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ
ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভ থেকে বিবিসির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দূর থেকে আসা পাঁচ থেকে ছয়টি ‘বিস্ফোরণের’ শব্দ শুনেছেন তিনি। দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে বিস্ফোরণের খবর আসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেই ধরনের খবর দিয়েছে সিএনএন। ইউক্রেইনের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর বরিস্পিলের কাছে গুলির শব্দ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে
ইউক্রেইনীয় সেনাদের অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান
ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির যুদ্ধাঞ্চলে অবস্থানরত ইউক্রেইনীয় সেনাদের অস্ত্র তাগ করে বাড়ি যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রক্তপাত হলে সেজন্য ‘কিয়েভ দায়ী থাকবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘ন্যায় ও সত্য’ রাশিয়ার পক্ষে। রাশিয়ার সঙ্গে কেউ লড়াই করতে এলে মস্কো ‘তাৎক্ষণিক’ জবাব দেবে।
বুধবার পূর্ব ইউক্রেইনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ‘আগ্রাসন’ প্রতিরোধে মস্কোকে সাহায্যের অনুরোধ জানানোর পর পুতিন এ ঘোষণা দিলেন।
ইউক্রেইনে অভিযানের ঘোষণা পুতিনের
ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।বৃহস্পতিবার সকালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানানোর মধ্যেই এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন এই অভিযানের ঘোষণা দেন। পুতিনের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ইউরোপে একটি যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।