‘আমি কোনোদিন বিকিনি পরে শট দিতে পারব না’

সুপ্রভাত ডেস্ক :
নেপোটিজম নিয়ে টলিউড রীতিমতো সরগরম। সম্প্রতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ আরো অনেক অভিনেতা ও পরিচালক কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। শ্রীলেখার দাবি টলিউডের তিনি কোনো পরিচালক অভিনেতা প্রযোজক এর সঙ্গে প্রেম করতে পারেননি বলেই সেভাবে কোন ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে পারেননি।
শ্রীলেখার এই অভিযোগের বিরুদ্ধে স্বস্তিকা ও বিস্ফোরক উত্তর দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘পুরুষ অভিনেতারাও কি পরিচালকের সঙ্গে শুয়ে কাজ পান?’
এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন শিল্পীর আয় তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে বললেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শিল্পনির্ভর হলেও আসলে এটাও একটা ব্যবসার জায়গা। এটাও একটা বাজার। যার চাহিদা বেশি তাই তার সুযোগও বেশি। লিড রোলে বানাই কার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যে কাউকে ভালো অভিনেত্রী হতে হবে সব সময় এমনই কিন্তু ক্রাইটেরিয়া থাকে না।
সুদীপ্তা তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যদি ব্যবসার জায়গায় হয় তাহলে অভিনেতারাও পণ্য ছাড়া আর কিছু নয়। এই বাজারে যা চলবে, তাই চলবে। এর আর কোনও কারণ খুঁজতে না যাওয়াই ভালো। কোনও ছবিতে প্রধান নায়ক বা নায়িকার ভূমিকায় যাকে কাস্ট করা হয় তার অভিনয় দক্ষতা ছাড়াও আরো অনেকগুলি বিষয় দেখা হয়। সত্যিটার সামনা করি চলুন।’
সুদীপ্তার এই মন্তব্যের সমর্থনে স্বস্তিকা আরও একটি পোস্ট করেছেন। স্বস্তিকা লিখছেন, ‘খামতি’ এই কথাটাই সবচেয়ে দামি। আমি কোনদিন শুভশ্রীর মতো নাচতে পারব না। আমি কোনদিন বিকিনি পরে শট দিতে পারব না। আমি কোনদিন সুদীপ্তার মত চরিত্র করতে পারবোনা। ওরা যেটা পাবে, যেটা ওদের শক্তি সেটার জন্য ওরা যে কাজ পাবে সেটা আমি না পেলে আমার নিশ্চয়ই আক্ষেপ থাকতে পারে। কিন্তু আমার কেরিয়ার নষ্ট করার জন্য আমি তাদের দায় দিতে পারি না। আমি শুধু নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে পারি এবং নিজের খামতি গুলোকে শক্তিতে পরিণত করতে পারি।
নেপোটিজম নিয়ে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘এখানে কেউ চ্যারিটি করতে আসেনি। হর্ষ নেওটিয়া আর ব্যবসা ওর ছেলেই দেখবেন। ওনার পাশের বাড়ির ছেলে দেখবে না। এটাই স্বাভাবিক। দর্শকদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে। স্টার কিডস অভিনয় করতে পারে না বলে যাদের এত বক্তব্য তাদের ছবি হিট হয় কি করে। সুশান্তের ‘রাবতা’ বা ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কেন? একজন স্মল টাউন এর ছেলে নিজের দক্ষতায় জায়গা করে নিচ্ছে তাকে কি দর্শকের উৎসাহ দেওয়া উচিত ছিল না? আমরা সেটা কি করেছি? ভবিষ্যতেও কি করব? করবো না। আমরা সুযোগ পেলেই একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাব।’
তথ্যসূত্র : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।