নিজস্ব প্রতিবেদক »
কোরবানের ঈদের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো নিত্যপণ্যের দাম চড়া। ফলে স্বস্তি ফেরেনি ক্রেতাদের মাঝে। নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি প্রতিষ্ঠাগুলোর অভিযানেও তেমন সুফল মিলছে না বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর রেয়াজউদ্দিন ও বকসিরহাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিতে রয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, ভোজ্যতেলসহ সকল পণ্যের দাম বেশ চড়া। গত তিন সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচ, টমেটোর দামও লাগামহীন। এই দুই পণ্যের দাম এখনো সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চাল তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে । প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ডাবল সেঞ্চুরিতে আদা ও রসুনের বাজার। বাজারে আদার দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আমদানি রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে আমদানি রসুন বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিতে থাকলেও বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে গরু-খাসির মাংসের দামও। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা আর খাসির মাংস ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা। স্থিতিতে রয়েছে ডিমের দাম। বাজারে ডিম বিক্রি হয়েছে ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
অন্যদিকে, সমুদ্রের মাছ ধরা বন্ধ থাকাতেই গত দেড় মাস ধরে সকল ধরনের মাছের দাম বেশ চড়া। দুইশ টাকার নিচে কোন মাছ নেই। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বন্ধ হলে দাম স¦াভাবিক হবে।
গতকাল খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৩০০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা। আর টমেটো ১৭০ থেকে ২০০ টাকা দরে। অন্যান্য সবজির মধ্যে বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, কচুমুখি ৪০ টাকা।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সরবরাহ ও মজুদ ঠিক থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করছে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে তারা নানা কৌশল ব্যবহার করছে।