মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র এখন ঘরে-বাইরে বাংলাদেশের শত্রুদের এক জায়গায় জড়ো করে গুপ্ত ঘাতকদের ঘাঁটি তৈরি করতে তৎপর। দেশের মাটিতে তাদের আন্দোলন গতি হারিয়েছে এবং শুকিয়ে যাওয়া স্রোতহীন মরা নদীর মতই প্রাণহীন। তাই যারা স্বাধীনতা চায়নি এবং যে সকল দেশ একাত্তরে আমাদের বিরুদ্ধে ছিল তারাই এখন তাদের মিত্র এবং প্রভু। এজন্যই বিএনপি-জামায়াত জাতির শনিগ্রহ।
শুক্রবার বিকেলে দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বিএনপি-জামায়াতের কথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনকে অরাজকতা ও নাশকতামূলক অভিহিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে আছে। মাঠ ছেড়ে কখনো পালায় নি ও পালাবেও না। বরং বিএনপি-জামায়াত পালাবার পথও খুঁজে পাবে না। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন দলের সাংগঠনিক বিষয় ও কর্মপন্থা সম্পর্কে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের সকল কার্যক্রম চলমান রেখেছে। সংগঠনের পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় মহানগর আওয়ামী লীগ নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে। যে সকল থানা ও ওয়ার্ড সম্মেলন এখনো হয়নি সেগুলো অবশ্যই পর্যায়ক্রমে বিধিমোতাবেক হবে।
সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাঙালি জাতিকে যে উচ্চতায় তুলে ধরেছেন সেখান থেকে যেকোন উপায়ে আমাদেরকে টেনে নামাতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের আলামত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ থেকে পরিত্রাণে আমাদেরকে সারাক্ষণ সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে।
কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শনিবার বিকেল ৩টায় একযোগে নগরীর ১৫টি থানায় নাশকতা ও নৈরাজ্যবিরোধী শান্তি সমাবেশ এবং মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেট সম্মুখে বনফুল চত্বরে শান্তি সমাবেশ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন ও জাতীয় শিশু দিবস পালনোপলক্ষে বাদ জুমা মুসাফির খানা জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, বিকেল ৩টায় সিআরবি শিরিষতলায় শিশু কিশোর সমাবেশ ও আলোচনা সভা, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে সকাল ১০টায় টিআইসিতে আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনোপলক্ষে আইসিসি কনভেনশন হলে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কর্মসূচি আয়োজনের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে পবিত্র রমজান মাসে বিদুৎ, পানি, গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সেবা প্রতিষ্ঠানকারী সবগুলো সংস্থার সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ও স্বচল রাখতে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান। বিশেষ করে নগরীর যানজট নিরসন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল রাখতে পুলিশ প্রসাশনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, বদিউল আলম, আবদুচ সালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জালাল উদ্দীন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, ড. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দীন আহমদ, হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, বখতেয়ার উদ্দীন খান, আহমদ ইলিয়াছ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, আব্দুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি