অভিযানের পরও কমেনি আলুর দাম

খুচরায় বিক্রি ৪৫ টাকা
মুন্সীগঞ্জ থেকে আসে ২৭ টাকা দামে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর পরও নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে আড়তে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত রেয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে ১০ আড়তদারকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে। কিন্তু জরিমানা গুনার পরও আড়তদাররা আবার ৪০ টাকা দামে আলু বিক্রি করছেন। গতকাল বুধবার রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে আলু আসে কেবল মুন্সীগঞ্জ থেকে। এখানকার আড়তদাররা মুন্সীগঞ্জের হিমাগার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করে আনেন। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজির কারণে আলুর দাম পাইকারি বাজারে ৪০-৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকা দামে বিক্রি হয়।
আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার পাইকারিতে কেজি প্রতি ৩০ ও খুচরায় ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করছে না।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম সুপ্রভাতকে বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন কর্ণপাত করছেন না তখন আমাদেরকে অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না করলে বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৪০ টাকা দামে আলু বিক্রি করছে। এমনকি গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা হওয়া আড়তগুলোতেও ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত রেয়াজউদ্দিন বাজারের কুমিল্লা ট্রেডার্স, রফরফ বাণিজ্যালয়, মক্কা বাণিজ্যালয়, মেসার্স মামুন ট্রেডার্স, মেসার্স মা বিতান, কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়, মেসার্স জননী ট্রেডার্স, দাউদকান্দি বাণিজ্যালয়, রিউ রাজমহল বাণিজ্যালয় ও আশীষ হাওলাদার ট্রেডার্সকে মোট এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
জানতে চাইলে দাউদকান্দি বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে আলু ২৭ টাকা দামে বিক্রি হলেও আমাদের কেনা পড়ে ৩২ টাকা। পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বাবদ আমাদের ৪০-৪২ টাকা দামে বিক্রি করতে হয়।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকর্তা সেলিম মিয়া সুপ্রভাতকে বলেন, মুন্সীগঞ্জের হিমাগার থেকে আলু বিক্রি হয় ২৭ টাকা কেজি দামে। কিন্তু আড়তদাররা বিক্রি করছে ৪০-৪২ টাকা কেজি দরে। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কেজিপ্রতি অন্তুত ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।