অভিনন্দন

জয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক

দুই ফরম্যাটের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওই শোধ নিল টাইগাররা। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের পর মিরপুরে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে সাকিবের দল জিতলো ৪ উইকেটে। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করলো ঐতিহাসিক টি টোয়েন্টি সিরিজ জয়। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও যেকোনো ফরম্যাটে এবারই প্রথম সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
মেহেদী হাসান মিরাজের তোপেই বারবার দিক হারিয়েছে ইংল্যান্ড। একাদশে সুযোগ পেয়েই হয়ে উঠলেন কা-ারী, বল হাতে কঠিন পরীক্ষা নিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। গত বিশ্বকাপে ¯্রফে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া মিরাজ টি-টোয়েন্টি একাদশে ফিরেই হয়ে উঠলেন জয়ের নায়ক। স্পিন সহায়ক উইকেটে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১২ রানে তার শিকার ৪ উইকেট। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। পরে রান তাড়ায় পাঁচে নেমে খেলেন ২ ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। সঙ্গে ব্যাটিংয়ের ভরসা হয়ে ওঠা নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্বশীল ইনিংস। শান্তর ইনিংসটি না হলে মিরাজের এই পারফরম্যান্সও যেতে পারত বিফলে। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা ব্যাটসম্যান এবার ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে ম্যাচ পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ৪৭ বলে খেলেন ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। তৌহিদ হৃদয়ের কার্যকরী ছোট্ট ইনিংসও দলের জয়ে ভূমিকা রাখে।
ইতিহাসগড়া জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ক্রিস জর্ডান। এই পেসারের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন শান্ত। এরপর একই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর চার মেরে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন।
এই জয়ের আনন্দে আত্মহারা হলে চলবে না, আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগানোর দৃঢ় সংকল্প নিতে হবে। জয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা ও শুভ কামনা আমাদের।