নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু লালদীঘির মাঠ থেকে ৬ দফা আন্দোলন ঘোষণা করেছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়েছিলো চট্টগ্রামের মাটিতে। শুধু তাই নয় সর্বপ্রথম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত মাসব্যাপী পণ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হায়েনাদের প্রেতাত্মা বেঁচে আছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘যারা বাংলার স্বাধীনতা চায়নি তারা মারা গেছে। কিন্তু তাদের প্রেতাত্মা বেঁচে আছে। তারাই বাংলার ইতিহাস মুছে দিতে চায়। কারণ কেউটের বাচ্চারা কেউটই হয়।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুধু চট্টগ্রামের নয় বরং বাংলাদেশের প্রাণের মেলা। তাই মেলার উদ্দেশ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তারাই এ ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখবে। চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলমিত্রের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন। অন্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, বদিউল আলম, পান্টু লাল সাহা, জহুরুল হক খোকা, মো. ইউসুফ, রমিজ উদ্দিন আহমেদ, বিজয় মেলার যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মাহমুদুল হক, চন্দন ধর, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, কাউন্সিলর শহিদুল আলম, বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, আবুল হোসেন আবু, মো. সাহাবউদ্দিন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ, আঞ্জুমান আরা বেগম, নীলুনাগ, দেবাশীষ নাথ দেবু, আজিজুর রহমান আজিজ, নুরুল আজিম রনি প্রমুখ।
প্রতি বছরের ন্যায় বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা শুরু হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে মেলায় গেলেই করোনা টিকা নিতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মেলায় প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
এ সময় কেক কেটে প্রয়াত জননেতা সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।