নিজস্ব প্রতিবেদক »
আব্দুল জব্বারের বলিখেলা ও বৈশাখী মেলা চট্টলাবাসীর প্রাণের স্পন্দন। এই মেলায় গত আটাশ বছর ধরে একই স্থানে পোড়া মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে বসছেন একদল ব্যবসায়ী। কথা হয় পোড়ামাটির তৈজসপত্র বিক্রেতা মোহাম্মদ মাহবুবের সাথে।
তিনি জানান, ‘গত ২৮ বছর ধরে জব্বারের বলীখেলায় আসছেন তিনি। প্রতি বছরই লালদীঘি পেট্রোল পাম্পের পাশে থাকে তাদের বিক্রয় কেন্দ্র। পোড়ামাটির ভাল জিনিসের জন্য ক্রেতাদের এ স্থানে আসতে হবে বলে জানান তিনি।’
এসব পোড়ামাটির জিনিসপত্র কোথা থেকে আনা হয় জানতে চাইলে মাহবুব বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থেকে আনা হয় এসব জিনিসপত্র। জব্বারের বলীখেলা উপলক্ষে সেখানে প্রতিবছর তৈরি করা হয় বিভিন্ন নকশার স্পেশাল পোড়ামাটির জিনিসপত্র। এতে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় হাঁড়ি-পাতিল, ডাবর-মটকি থেকে শুরু করে মাটির ব্যাংক, শো-পিস, গহনা, কলস, ফুলের টব, ফুলদানি, পিঠা তৈরির সাজ এবং নানা রকম খেলনা।’
বিভিন্ন কুমার থেকে এসব মাটির তৈরি জিনিসপত্র জোগাড় করে মেলায় আনা হয় বলে জানান তিনি।
‘এখানে প্রতিটি আইটেম ভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার কারণে মেলা বন্ধ থাকায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন কুমারেরা ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছরের মেলায় ভাল বিকিকিনি হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘এ চট্টগ্রাম শহরে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতা রয়েছেন। যাদের সাথে পরিচয় এ মেলার সুবাদে। তারা আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যান। তবে অন্যান্য বছর পাঁচদিন সময় পেলেও এ বছর তা পাচ্ছি না। তারপরও আশা রাখি নগরবাসীর মেলায় আগমনে আমাদের পুরনো সম্পর্ক আবারো দৃঢ় হবে।’
এসময় দেখা গেছে, মেলায় বিক্রয়ের বিভিন্ন পোড়ামাটির তৈরি জিনিসপত্র রঙ করছেন। তাছাড়া দুবছর পর মেলায় আসতে পেরে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।