বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মো. জানে আলম স্মরণে নাগরিক শোকসভা শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর উত্তর পতেঙ্গা মাইজপাড়া ঈদগাহ ময়দানে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক শোকসভা পরিষদের আয়োজনে সকাল ৯টায় কোরান খতম, দোয়া মাহফিল, মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় ১৩৪ জন শিশুকিশোর অংশগ্রহণ করে। এতে বিচারক ছিলেন চিত্রশিল্পী মো. আলী। পুরস্কার বিতরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র চট্টগ্রামের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ। এরপর সকাল ১০টায় হিউম্যান এইড পতেঙ্গার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। বাদ জুমা শুরু হয় আলোচনা সভা। নাগরিক শোকসভা পরিষদের আহবায়ক কাউন্সিলর শাহানুর বেগমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নুরুল আলমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আ.লীগ নেতা মশিউর রহমান চৌধুরী, জামশেদুল আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার সওগাতুল আনোয়ার খান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলী শাহা, ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম টেন্ডুল, আব্দুস সবুর, জাগির আহমদ, জহিরউদ্দিন বাদল, বিটিভির উপস্থাপিকা রেখা নাজনীন, শ্রমিক লীগ সভাপতি মো. আলী, মো. নাছির আলম প্রমুখ।
শাকসভায় প্রধান অতিথি রেজাউল করিম বলেন, জানে আলম সততা ও সত্যবাদীতার ক্ষেত্রে অন্যান্যদের থেকে অনন্য এক নেতা। তিনি ছিলেন সাম্যবাদী, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিকামী একজন ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে একজন দেশপ্রেমী মানব দরদী পরিচ্ছন্ন পরিশুদ্ধ মেধাবী রাজনীতিবিদকে হারালো। জানে আলম ভাই জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি শ্রমিক রাজনীতিও করেছেন। শ্রমিকদের জন্য তিনি আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বিজ্ঞপ্তি
শ্রমিকদের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছে জানে আলম
নাগরিক শোকসভায় বক্তারা