সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
কুমারী মেরির গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন এক শিশু। আজকের এই দিনে এক গোয়াল ঘরে জন্ম দেন মাতা মেরি তার শিশু পুত্রকে। এই দিনটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পুণ্যের দিন। পরিত্র বাইবেলে রয়েছে এই শিশুর জন্ম নিয়ে অনেক কাহিনী। পৃথিবীর সব পাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতেই তার আবির্ভাব।
মেরীর সেই শিশুপুত্রই হয়ে ওঠেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পথ প্রদর্শক। খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন অলৌকিকভাবে। তাকে স্মরণ করতে গির্জায় প্রার্থনার আহ্বানের জন্য বাজানো হয় ঘণ্টাধ্বনি। যিশুখ্রিষ্টের অনুসারীরা মনে করেন, এই ঘণ্টাধ্বনি শুভ সংবাদের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের মতে, যিশুখ্রিস্ট পৃথিবীতে মানুষ রূপে জন্মগ্রহণ করেছেন। যিশুর আগমনের এই ক্ষণ স্মরণ করতেই অনুসারীরা বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করে থাকে। তাদের বিশ্বাস, ডিসেম্বরের কোনো এক সময় যিশুর জন্ম হয়েছিল।
গির্জার ঘণ্টাধ্বনি শুনে প্রার্থনার জন্য প্রস্তুতি নেন। প্রহর অনুযায়ী এই ঘণ্টা বাজানো হয়ে থাকে। তবে একসঙ্গে কতবার বাজবে তার কোনো নিয়ম নেই। প্রাচীন ইতিহাস থেকেই বিভিন্ন দেশে গির্জায় ঘণ্টা বাজানোর প্রচলন রয়েছে। যিশুখ্রিস্ট যখন প্রবেশ করেন তখন এই ঘণ্টা দেয়া হয়। মুসলিম ঘরে নতুন সন্তান এলে আজান শোনা যায়। একইভাবে আমাদের প্রথাগত দিক হলো ঘণ্টাধ্বনি। এটি মানুষের মনে জয়োল্লাস ও আনন্দের সাংস্কৃতিক চিহ্ন।
বিভিন্ন প্রহরে ঘণ্টা দেয়া হয় গির্জায়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ভোর ৬টা, দুপুর ১২টা, বিকাল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা, রাত ৯টা ও রাত ১২টায় ঘণ্টা বাজানো হয়ে থাকে। তার কথায়, শুভ সংবাদ প্রকাশিত হলে ঘণ্টাধ্বনির মাধ্যমে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো গির্জায় পোপ নির্বাচিত হলে গির্জাঘরে ঘণ্টা বেজে ওঠে।
মূলত প্রার্থনার মাধ্যমে যিশুকে স্মরণের জন্য গির্জায় প্রহর অনুযায়ী ঘণ্টা বাজানো হয়ে থাকে। প্রার্থনার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানোই ঘণ্টাধ্বনির উদ্দেশ্য। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
ফিচার দেউড়ি