মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সাথে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে চট্টগ্রাম সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেসব ব্যক্তিবর্গ আন্দোলন সংগ্রামে নানাভাবে অবদান রেখেছেন, তাদের সম্মানে এবং নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ঐসব ব্যক্তির অবদান স্মরণে ইতিহাস সম্বলিত নাম ফলক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাটালি হিলের অস্থায়ী নগর ভবনের মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, মহানগরীতে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে জামালখান মোড়ে পাক হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের প্রথম শহীদ বশরুজ্জামান চৌধুরী, দীপক বড়–য়া ও জাফরের নামে যে স্মৃতি ফলকটি চেরাগী পাহাড়ের মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে খাস্তগীর স্কুলের সামনে দৃশ্যমান স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে বলেও জানান।
মেয়রের সাথে সাক্ষাৎকালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রীতিলতার আত্মদানকে স্মরণ করে রাখার জন্য পাহাড়তলীস্থ তৎকালীন ইউরোপিয়ান ক্লাবকে যাদুঘরে রূপান্তর করার জন্য ইতোমধ্যে মেয়র যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সকলের সহযোগিতা প্রদান করা উচিত বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড শাহ্ আলম, মাহাবুবুল আলম চৌধৃুরীর ভাষা আন্দোলনের অবদান ও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা যে জায়গায় অবস্থান করে অবদান রেখেছেন তাদের ইতিহাস সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ করার চসিকের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু সরকার, পিনাকি দাশ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি