নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘শুধু প্রকল্প প্রদর্শনীই নয়, প্রকল্পের পেছনে যেসব বিজ্ঞানী বা উদ্ভাবক রয়েছেন তাঁদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততা প্রয়োজন। আগামীতে বিজ্ঞানের ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতার জন্য বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে দৃঢ় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
তিনি গতকাল বুধবার ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, বুয়েটের সাবেক উপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহসভাপতি মুনির হাসান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অন্যতম মাধ্যম।’
ড. নজরুল ইসলাম বলেন ‘বিজ্ঞানের জগতে দ্রুত পরিবর্তন আসবে। বর্তমান পটভূমির পরিবর্তন হয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব স্থান করে নেবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘এমন প্রকল্প উদ্ভাবন করতে হবে, যা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লাগসই, ব্যয়সাশ্রয়ী এবং বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য হয়। শুধু চিকিৎসক, গবেষক বা বিজ্ঞানী হওয়াই জীবনের সার্থকতা নয়, সৎ ও নৈতিক মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।’
তিনদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো অলিম্পিয়াড, কুইজ, বিজ্ঞান নাটিকা এবং বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে ৬শতাধিক প্রতিযোগী গত তিনদিন ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী, তরুণ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিক্ষক ও অভিভাবক মিলে প্রায় সহস্রাধিক অতিথির পদচারণায় মুখরিত ছিলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবন।
অনুষ্ঠানে ৪৩ জনকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রাইজবন্ড এবং নগদ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়। এ বিজ্ঞান মেলা মূলত তরুণ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মেধা, জ্ঞান ও প্রতিভার এক অনন্য প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়, যা বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।