নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘প্রধানমন্ত্রীকে আঠারো বারেরও বেশি হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের কথা ভেবে উনি কখনও রাজনীতি থেকে পিছপা হননি। যদি উনি সরে যেতেন তাহলে কি অবস্থা হতো জানেন! আজকে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে; তাহলে তো তারা একদিনেই দশ লাখ লোক মেরে ফেলবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারবে। এটা কি কখনও হতে দিব! যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করার জন্য লড়ে যাবে’।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুব মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এগারো নভেম্বর যুবলীগের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। করোনার পর প্রধানমন্ত্রী কোন প্রোগ্রামে সশরীরে উপস্থিত হননি। প্রায় আড়াই বছর পর প্রোগ্রামে সশরীরে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তিকে সিলেক্ট করেছেন তিনি। এটা যুবলীগের জন্য গর্ব। কারণ, যুবলীগ এ ইতিহাসের একটা অংশ হতে যাচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে সমাবেশ করে জাতিকে দেখাতে চায় তাদের সমর্থন আছে। এখানে কিছু, ওখানে কিছু; বেশি হলে তাদের ৫-৬ হাজার লোক হবে। কিন্তু তারা জাতিকে দেখাতে চায়, তারা লাখ লাখ মানুষের ঢল নামিয়ে দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, যুবলীগ যদি চাই; তাদের থেকে এক হাজার গুণ বেশি মানুষের সমাগম ঘটাতে পারবো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে এ বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়ে দিবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সারাজীবন এক নম্বর দলে ছিল। এখনও এক নম্বর দল। বিএনপি-জামায়াতকে রুখে দিতে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কাউকে লাগবে না; এ যুবলীগ একাই যথেষ্ট।
যুবলীগের প্রস্তুতি সভা নিয়ে নেতাদের উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আসবে; তাই এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা। সারা বাংলাদেশ টিভির দিকে চেয়ে থাকবে; ১১ নভেম্বর যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তিতে কত লোক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করতে চাই না; ওনাকে দেখিয়ে দিতে চাই যুবলীগ কত শক্তিশালী। আমি বিশ্বাস করি, মিনিমাম না হলেও ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোক শুধু চট্টগ্রাম থেকে যাবে। অন্য ডিভিশন বাদই দিলাম। চট্টগ্রাম থেকে ওখানে সবচেয়ে বেশি লোক থাকবে।
যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, আবু মনির চৌধুরী রাসেল, ঢাকা দক্ষিণ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নেতাকর্মীরা। তারা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় গমন, নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সংখ্যা ও সমাবেশে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্র্ধারণকৃত পোশাক সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেন।