বঙ্গবন্ধু টানেল
টোল আদায় ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উন্মুক্ত করার প্রথম ১২ ঘণ্টায় গাড়ি চলাচল করেছে ২ হাজার ৬৪টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা। এরমধ্যে প্রাইভেটকার ছিলো সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন টানেলে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলার ক্ষমতা থাকলেও প্রথম দিনে হরতাল থাকায় গাড়ি কম চলাচল করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
টানেল সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। প্রথমে মাইক্রোবাস নিয়ে আনোয়ারা থেকে নগরে আসার আগে টোল পরিশোধ করেন মুন্সিগঞ্জের জুয়েল রানা। প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি কয়েকজন বন্ধু নিয়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে আনোয়ারা প্রান্তে যান। এরপর গতকাল রোববার সকাল ছয়টায় প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি টোল দিয়ে পতেঙ্গা আসেন। তবে টানেলে প্রথম প্রবেশ করেন দুলাল সিকদার ও তার স্ত্রী-সন্তান।
টোল প্লাজা আনোয়ারা অংশে হওয়ায় পতেঙ্গা প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে তিনি প্রথম টোল পরিশোধ করতে পারেননি। সকালে শতাধিক গাড়ি লাইন ধরে টানেলে প্রবেশ করে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী বাস হিসেবে প্রথম টোল পরিশোধ করে বিডি বাস লাভার গ্রুপের একটি বাস।
জানা যায়, ভোর রাত থেকে টানেলে প্রবেশের জন্য উভয় প্রান্তে অপেক্ষায় ছিল প্রায় শতাধিক গাড়ি। তবে পতেঙ্গা প্রান্তের চেয়ে আনোয়ারা প্রান্তে গাড়ির চাপ বেশি দেখা গেছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সাইট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকাল ছয়টা থেকে যান চলাচল উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রথম ১২ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৪টি গাড়ি টানেল পারাপার করেছে। টানেলের ভেতরে ও বাইরে কোনো সমস্যা হয়নি।
গাড়ি চলাচল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহম্মদ আলী বলেন, ‘যান চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। বন্দর এলাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পতেঙ্গা, বিশেষ করে টানেলের বাইরের অংশেও যান চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।’