দীর্ঘ সময় ধরে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া অবশ্যই হতাশাজনক, অধিকতর আন্দোলন ছাড়া অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আবুল মোমেন।
২ ডিসেম্বর নগরীর জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক তাপস হোড়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। প্রধান অতিথি বলেন, ২৪ বছর পূর্বে আমরা আশা করেছিলাম এই চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মাঝে শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় সেটি এখনও অধরা রয়ে গেছে। আবুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের আদিবাসীদের সংস্কৃতি রক্ষা করতে হলে ভাষা ভিত্তিক সাহিত্যের বিকাশ ঘটাতে হবে, না হলে বাংলা ভাষী সংস্কৃতির সাথে হারিয়ে যেতে হবে। লেখাপড়া জ্ঞান চর্চা মাতৃভাষায় করতে হবে, মানসম্মত সাহিত্য মাতৃভাষার মাধ্যমে চর্চা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে যে প্রতিশ্রুতি ছিল বিশেষ করে ভূমি কমিশন ও প্রশাসন সেগুলোকেও যথাযথভাবে ক্ষমতায়ন করতে হবে। ঐক্যের ভিত্তিতে দাবী আদায় করতে হবে। চবি শিক্ষক হোসাইন কবির বলেন, পাহাড়ে যে সংগ্রাম হয়েছে, সেটি মানুষ হিসেবে আমারও সংগ্রাম বলে মনে করি। কাপ্তাই বাঁধের ফলে তারা যে ভূমি হারিয়েছে সেটির ক্ষতিপূরণ কিন্তু তারা পায়নি। বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দ্রুত ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে পার্বত্য জনপদে একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক হাফিজ রশিদ খান, ঐক্য ন্যাপের পাহাড়ী ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম চেম্বার এন্ড কর্মাস এর সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি চট্টগ্রাম এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক সুমী খান, আইনজীবী ও নারী নেত্রী রেহেনা বেগম রানু, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় শাখার সদস্য হ্লামিউ মারমা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি