নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের পূর্ব রতনপুর এলাকার রেমিট্যান্সযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছে তার ভাইয়েরা। রেমিট্যান্সযোদ্ধার আপন ৪ ভাই নানাভাবে এ ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিতার মৃত্যুর পর ২০০২ সালে ওই প্রবাসী রতনপুর মৌজায় ১৮ শতক জায়গা খরিদ করেন।
এর মধ্যে জেঠাত ভাই আবদুল খালেক থেকে ১০ শতক ও বড়জেঠা আবদুল ছত্তার নামের আরেক ওয়ারিশ থেকে ৮ শতক জায়গা খরিদ করেন। খরিদকৃত ওই জায়গায় প্রবাসী তার অর্থে একটি পাকাঘর নির্মাণ করেন। পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে তিনি দুবাই শহরে থাকার কারণে প্রবাসীর মেঝভাই মো. হাসেমকে এটি দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। রেমিট্যান্সযোদ্ধা সম্প্রতি দেশে ফিরলে তার আপনভাই জাবের হোসেন প্রবাসীর নির্মিত বাড়িটি দখল করতে পাঁয়তারা শুরু করে। প্রবাসীর বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। গত ১৫ আগস্ট প্রবাসীর বড়ভাই মো. নাছেরের পুত্র মো. রনি, মো. রবি, জাবের ও শওকতের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের পূর্ব রতনপুর এলাকার মরহুম আবদুল মোনাফের দুই সংসারে ৮ পুত্র ও ৪ কন্যাসন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন দুবাই শহরে থেকে জীবনযাপন করছেন। ১৯৯৯ সালের ৭ অক্টোবর পিতা আবদুল মোনাফ ইন্তেকাল করার পর পরিবারের হাল ধরেন প্রবাসী আনোয়ার হোসেন। ভাইদের মানুষ করতে তিনি বিভিন্নভাবে কাজ করেন। কিন্তু বর্তমানে ভাই জাবের হোসেন, এনাম, নাছের ও শওকত এই রমিট্যান্সযোদ্ধাকে উচ্ছেদ করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সম্প্রতি প্রবাসীর পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ১৪৫ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভাই জাবের হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। প্রবাসীর অভিযোগ, পটিয়া ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারকে ম্যানেজ প্রতিবেদন তাদের পক্ষে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
রেমিট্যান্সযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘ ৩১ বছর ধরেদুবাই শহরে বসবাস করে আসচ্ছেন। পরবর্তীতে তিনি স্ত্রী-পুত্রকে দুবাই শহরে নিয়ে যান। ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন দুবাই শহরের একটি ইউনিভার্সিতে আইটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া করছে। কিন্তু ভাই মো. জাবের হোসেন ১২ জুলাই মিথ্যা একটি ঘটনা সাজিয়ে ১৪৫ ধারায় আদালতে মামলা করে। আমি আগে থেকে আমার নির্মিত ঘরে ছিলাম এবং গত ১৪ জুলাই আমার ছেলে দেশে ফিরলে সেও ঘরে থাকে। কিন্তু হয়রানিমূলক একটি ঘটনা সাজিয়ে আমি ও আমার পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে ওরা। এমনকি আমাকে প্রা নাশের হুমকিও দেওয়া হয়। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।