নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জলজট নিরসন, স্যুয়ারেজ প্রকল্প, বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারসহ অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে ইতিপূর্বে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন, যার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে ও হচ্ছে। চট্টগ্রামবাসী এর মধ্যে এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন।’
একনেকে মেট্রোরেল প্রকল্প তৈরির প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্প চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গভীর আন্তরিকতার প্রকাশ এবং নতুন বছরে চট্টগ্রামের জন্য নেত্রীর উপহার।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে সর্বাত্মকভাবে এটি আধুনিক ও উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট রয়েছেন। চট্টগ্রামকে বিশ^মানের শহরে রূপান্তরে তিনি ইতিমধ্যে সব সেবা সংস্থাকে দিয়ে সুদূরপ্রসারী ও টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছেন। এখন চট্টগ্রামবাসীর দায়িত্ব হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও সদিচ্ছাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগানো। মেট্রোরেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামে আর যানজট সমস্যা থাকবে না। ফলে বন্দর নগরী হিসেবে গাড়ির অত্যাধিক চাপ নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে আর বাধা হতে পারবে না। ছয় হাজার কোটি টাকার জলজট নিরসন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরী দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। ওয়াসার চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশনে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। চট্টগ্রামের প্রাণ কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদী দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বের সরকারগুলোর মতো শেখ হাসিনার সরকার চট্টগ্রামকে নিয়ে কোনো মৌখিক আশ^াসে সীমাবদ্ধ থাকেনি। চট্টগ্রামের একজন নাগরিক হিসেবে এবং সরকারের একটি অংশ হিসেবে এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। এ অঞ্চলের দলমত নির্বিশেষে সব মানুষেরই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানানো উচিত।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর একনেক সভার কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর ব্যাপারে অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম শহরের জনসংখ্যা এখন ৬৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। নির্বিঘ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এখনই যদি মেট্রোরেলের উদ্যোগ নেয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। তথ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোরেল সার্ভিস চালুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন উপস্থিত সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও। তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে তার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রস্তাবনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আগ্রহে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে মেট্রোরেল (এমআরটি) চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি) এর কাজ ২০১৯ সালে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন বছরে চট্টগ্রামের জন্য নেত্রীর উপহার
মেট্রোরেল নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ